বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা
অসহায় আলমগীরকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন

অসহায় আলমগীরকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বড়কৈবর্তখালী গ্রামের অসহায় শাহজাহান হাওলাদার এর ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন (২৫) গত ৬ আগস্ট’২১ গাজিবাড়ি নামক ষ্টানে বিকাল ৫টার দিকে ভাড়া চালিত অটোবাইক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দূর্ঘটনায় চালক আলমগীরের দুটি পা, একটি হাত ও কোমড় ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে রাজাপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বরিশাল শের-ই বাংলা হাসপাতালের ডাঃ সুদিব কুমার হালদার ভর্তিরত আলমগীর কে নিয়মিত ১০দিন চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে ২৪দিন ১০কেজি ওজনের ইট দিয়ে পা টানা রাখতে বলেন। এবং ২৪দিন পরে যোগাযোগ করতে বলেন ২৪দিন পার হলেও সুস্থ হয়নি আলমগীর পরে ৪দিন বরিশাল শের-ই বাংলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বরিশালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। আর্থিক সমস্যা থাকার কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আর যাওয়া হয় না, পরে বাড়িতে চলে আসেন আলমগীর। বাড়িতে আসার পর ঠিক মতো চিকিৎসা না হওয়ায় শরীরের অবস্থা খারাপ হলে তাকে রাজাপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, অসুস্থতা বেশি হলে পূণরায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে আলমগীরের অবস্থা সংকটাপন্ন। অর্থাভাবে ঔষুধপত্র কিনতে পারছে না।

মো. শাহজাহান বলেন, আমার ছেলে আলমগীরের ঔষুধ কিনতে পারছি না, আলমগীরের ২ টি শিশু সন্তান। বড় মেয়ের বয়স দুই বছর ছোট ছেলের বয়স ৭মাস টাকার অভাবে ৭মাসের দুধের ছেলে সহ ঘরে ৭জন সদস্যর খাবার জোগার করতে পারছি না। আমার জমিজমা নেই, বৃষ্টি হলে ঘরের চাল থেকে পানি পড়ে। ফুটপাতে কাঁচামাল বিক্রি করতাম, করোনায় লক ডাউনে পেটের দায়ে জমা শেষ, প্রায় তিন লাখ টাকার ঋণগ্রস্থ হয়ে পরেছি।
আলমগীরের স্ত্রী শারমিন বেগম বলেন, বরিশাল হাসপাতালে মরনাপন্ন স্বামীর চিকিৎসার জন্য ভর্তি করলে বিজ্ঞ ডাক্তারগন তাকে ঢাকায় নিতে বলেন এবং এখানে চিকিৎসা হবে না বলে নাম কেটে দেয়। ঔষধ কেনার টাকা নাই। পেট ভরে দু’বেলা খেতেও পারিনা। ২ টি সন্তানই বুকের দুধ খায়, তাতে পেট ভরে না, দুধ কেনার টাকা নাই। জমিজমা ঘরবাড়ি কিছু নাই। শ্বশুরের ঝরাজীর্ন ছোট্র একটি ঘরে বসবাস করছি।
আহত আলমগীর বলেন, এ মুহূর্তে আমার জরুরী অপারেশন সহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় অন্তত তিন লাখ টাকা প্রয়োজন কিন্তু আমার পরিবারের পক্ষে এতো টাকা জোগার করা অসম্ভব। এ অবস্থায় আমি সরকারের, সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে চিকিৎসা সহায়তা কামনা করছি। আলমগীরের কে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে যোগাযোগ করুন পিতা শাহজাহান এর বিকাশ ও নগদ (পার্সোনাল) নাম্বার ০১৭৪৬৮৪২৮১৭
রাজাপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মোজাম্মেল বলেন, হাসপাতালে আমাদের ফরম দেওয়া আছে, যদি কোনো অসহায় ব্যক্তির চিকিৎসা নেওয়ার সমার্থ না থাকে, আমাদের কাছে আবেদন করবে, আমরা সরকারি ভাবে উপজেলা রবি কল্যাণ এর মাধ্যমে তাদের সহায়তা করার চেষ্টা করবো।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD