ছবি: সংগৃহিত
নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া আসন দুটিতে ভোটের ব্যবধান এমনই হয়েছে যে, বিজয়ী প্রার্থী ছাড়া বাকি সব প্রার্থীর জামানন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ঢাকা-১৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিল ৬ জন এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিল দুইজন।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বৃহস্পতিবার আসনটি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত রেজল্টসিট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
ঢাকা-১৮ আসনে মোট ভোট দিছেন ৮১ হাজার ৮১৮ জন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিব হাসান হাবিব ৭৫ হাজার ৮২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। বাকিদের ক্ষেত্রে জামানত ফেরত পেতে হলে কমপক্ষে ১০ হাজার ২২৭ ভোট প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিএনপির এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৬৯ ভোট। এছাড়া গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ ১২৬, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ওমর ফারুক ৯১, জাতীয় পার্টির মো. নাজিম উদ্দিন সরকার ৩২৫ এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. মহিববুল্লা বাহার মাত্র ৮৭ ভোট পেয়েছেন।
এই আসনে ২১৭ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১১৬ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮১ হাজার ৮১৮ জন। ভোট পড়ার হার ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এদিকে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে ১৭১ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৩ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ হাজার ৮৮ হাজার ৭৯৩ জন। ভোট পড়ার হার ৫১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী এ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সেলিম রেজার জামানত ফেরত পেতে প্রয়োজন ছিল ২৩ হাজার ৫৯৯ ভোট। কিন্তু তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪৬৮ ভোট।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেরা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ-১ আসন শূন্য হয়েছিল।
Leave a Reply