বিদূষক অরিন কবি
ঊমা আসিতেছে মাগো বরষ পরে
গিরিরাজগৃহে তাই আনন্দ না ধরে!
বলদে চড়িয়া ঊমা রওয়ানা দেন যেই –
শিঙাতে ফুঁক লাগে দিতে ভূতগণ ওই!
ঢক্কাঢোল বাজে সহিত, বৃহৎ করতাল
মহানিনাদে গণপতি ভয়ে বেসামাল!
কার্তিকেয় তখন তাহার ভ্রাতারে ধরিতে
ময়ূরপুচ্ছ জড়াইয়া হা, পড়িলা মাটিতে!
শুনি লক্ষ্মী তথা সরস্বতীর আতঙ্কে রোদন
বাহির হইলেন কৈলাসপতি শ্রবণে ক্রন্দন!
ঊমারে ভর্ৎসনা দিলেন ডম্বরু নিনাদে
” কেমন মাতা তুমি ওগো, সন্তানগণ মোর কাঁদে?”
মাতা রোষানলে কহে -” হে কৈলাসপতি
কালে কালে তোমার হায় গো একি এ দুর্মতি?
বকিবে দুষ্ট পুত্রগণে নাহে,বকিছো মাতারে
কেবলই কি দ্বন্দ্ব চাহো, আপন ভাতার হে?
হেনস্থা এ কেন মোরে? ” – পার্বতী মাতা ক’ন
বাবা কেবল ব্যোবোম ব্যোবোম বগলই বাজান!
ক্রোধে মাতা বলদ হতে,নামিলেন যেই –
ডাকিলেন উচ্চৈশ্রবা ঘোটকীরে সেই !
অতএব মাতার মর্ত্যে, ঘোড়ায় আগমন
ইঙ্গিত তাহাতে দিছে সমরের বর্ণন
অশ্বক্ষুরে ধ্বনিত সে, করোণারই রণ
প্রার্থনা – সকলের, মাতা বিজয়িনী হন!
অতিমারী হেনমতে করুন মাতা রদ
সর্ব অগ্রে হোক মাতার, করোণাসুর বধ!
Leave a Reply