বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
আজ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন

আজ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন

রাজশ্রী, কলকাতা প্রতিনিধিঃ

লেখক, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ।১৮২০ সালের এই দিনে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ বছর বয়সে সনাতন বিশ্বাসের পাঠশালায় বিদ্যাসাগরের পড়াশোনা শুরু। আট বছর বয়সে বাবার সঙ্গে হেঁটে তিনি কলকাতা যান এবং শিবচরণ মল্লিকের পাঠশালায় এক বছর পড়েন।
পরে সংস্কৃত কলেজে ১২ বছর অধ্যয়ন করেন এবং ব্যাকরণ, কাব্য, অলংকার, বেদান্ত, স্মৃতি ন্যায় ও জ্যোতিষশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। এসব বিষয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই তিনি ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। তিনি ১৮৩৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সঙ্গে আইন পরীক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৮৪১ সালে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১৮৪৬ সালে তিনি সংস্কৃত কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন। ১৮৫১ সালে তিনি এ কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে নিযুক্ত হন।
সংস্কৃত কলেজ তার সংস্কৃত শিক্ষার সংস্কার প্রস্তাব অগ্রাহ্য করলে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে ফিরে আসেন। অবশ্য পরে শর্ত মানার আশ্বাস পেয়ে তিনি সংস্কৃত কলেজে ফিরেছিলেন।
বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার। তিনি জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ ও সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : ‘বর্ণপরিচয়’, ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’, ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’, ‘বিধবা বিবাহ চলিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব’ প্রভৃতি। অনুবাদ : ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’ (হিন্দি থেকে), ‘শকুন্তলা’, ‘সীতার বনবাস’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’ (শেকসপিয়ারের কমেডি অব এরস)।
বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা, নারী শিক্ষা ইত্যাদি কাজে বিদ্যাসাগর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই তিনি মারা যান।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD