বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কসবা ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নতুন ভর্তির মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আল্লামা মরহুম গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস
কলকাতায় শুধু মুসলিম হওয়ার কারণে হোটেল থেকে তাড়িয়ে দেয়া হল শিক্ষকদের!

কলকাতায় শুধু মুসলিম হওয়ার কারণে হোটেল থেকে তাড়িয়ে দেয়া হল শিক্ষকদের!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
‘পাড়ার লোকেরা মুসলমানদের থাকতে দিতে চায় না’ এই অজুহাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা লাগোয়া এক এলাকার দুটি গেস্ট হাউস থেকে ১০ জন মুসলমান শিক্ষককে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওই ১০ জন মাদ্রাসা শিক্ষক মালদা থেকে সোমবার খুব ভোরে পৌঁছেছিলেন বিধাননগরে। তাদের কেউ প্রধান শিক্ষক, কেউ সহকারী শিক্ষক। রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরে সরকারি কাজে এসেছিলেন তারা।

ক্লান্ত শিক্ষকরা অগ্রিম টাকা দিয়ে বুক করে রাখা গেস্ট হাউসের ঘরে গিয়ে একটু বিশ্রাম নিতে চাইছিলেন দ্রুত। একটু পরে রাস্তায় বেরিয়ে খাবার খেতে গিয়েছিলেন। তখনই লোকজন তাদের দাড়ি-টুপি-পাজামা-পাঞ্জাবী দেখে সন্দেহ করেছেন। এটা অনেক পরে বুঝতে পারেন ওই দলে থাকা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান নামের একজন প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, সবাই রাত জেগে এসেছি। তাই গোসল করে খাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলাম। ফিরে এসে ঘরেই কয়েকটা কাজ করছিলাম। এমন সময়ে গেস্ট হাউসের একজন এসে জানায় যে, আপনাদের আরও ভাল ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার সঙ্গে চলুন। আমরা সেই কথা শুনে তার সঙ্গে যাই। দ্বিতীয় ওই গেস্ট হাউসে আমাদের বসিয়েই রাখে বেশ কয়েক ঘণ্টা। যখন তাদের বলি যে কী ব্যাপার। এখানে নিয়ে এসে বসিয়ে রেখেছেন, ঘর দিচ্ছেন না? ম্যানেজার তখন বলে আপনাদের এখানে থাকতে দেওয়া যাবে না। আপনারা চলে যান।

তারা সবাই খুব অবাক হয়েছিলেন এভাবে হেনস্থা হওয়ার জন্য। কিন্তু কারণটা তখনও বুঝতে পারেননি। যে শিক্ষক সংগঠনের নেতার মাধ্যমে ঘর বুকিং করেছিলেন তাকে খবর দেন তারা।

তিনি বলেন, তখনও আমরা কারণটাই বুঝতে পারছি না যে কেন এমন ব্যবহার করল। আমাদের সংগঠনের নেতা মইদুল ইসলামকে ফোন করি। তিনি ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানান যে থাকতে হবে না আপনাদের ওখানে। বেরিয়ে আসুন। এমন ঘটনায় তারা খুব অপমানিত হয়েছেন।

ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই ১০ জন মাদ্রাসা শিক্ষক ‘পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ’ নামক একটি সংগঠনের সদস্য। ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে বিধাননগর পূর্ব থানায় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD