আবুল খায়ের স্বপন।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সদরের কসবা টি.আলী কলেজের প্রবেশমুখে টাঙানো হয়েছে করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনাসংবলিত ব্যানার। শ্রেণিকক্ষের সামনে রাখা হয়েছে মাস্ক ও সতর্কতামূলক নির্দেশনা। হাত ধোয়ার জন্য পানির ট্যাংক ও কল স্থাপনের কাজ চলছে। করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার খুলছে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এর আগেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে কলেজটিতে চলছে তোড়জোড়। এ ছাড়াও কসবার ৯টি কলেজ, ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২২টি মাদ্রাসা ও ১৬৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামীকাল রোববার খুলছে। তোড়জোড় চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ।
কসবা উপজেলার অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নানা প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সঠিক ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে কিনা যাচাই করতে আজ শনিববার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরেরর কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক শোমেস কর চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন, গবেষনা কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম। তারা কসবা টি.আলী কলেজ, কসবা মহিলা কলেজ ও গোপীনাথপুর আলহাজ্ব শাহআলম কলেজ পরিদর্শন করেন।
আজ শনিবার সকালে কসবা টি.আলী কলেজে সরেজমিন দেখা যায়, মাঠের এক পাশে পানির ট্যাংক বসানো হয়েছে। কলেজের ভেতরে শৌচাগারগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রতি তলায় বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার কল। শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব মেনে রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চগুলো। এ ছাড়া লাগানো হয়েছে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা ছাপা পোস্টার।
কসবা টি.আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কলেজে ঢোকার আগে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হবে। বাধ্যতামূলকভাবে তাদের মাস্ক পরতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জন্য আইসোলেশন কক্ষও তৈরি রাখা হয়েছে। শিক্ষকদের সবাই করোনার টিকা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
আজ সকালে কলেজটিতে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে এসেছিল অনেক শিক্ষার্থী, ছিলেন তাদের অভিভাবকেরাও। এক অভিভাবক বলেন, এখন পর্যন্ত স্কুলের প্রস্তুতি সন্তোষজনক। সামনের দিনগুলোয় এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
এদিকে আজ শনিবার কলেজ খোলার প্রস্তুতি কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরেরর কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক শোমেস কর চৌধুরী এর নেতৃত্বে একটি দল। শোমেস কর চৌধুরী বলেন, প্রাণের প্রতিষ্ঠানে প্রাণ নেই। এতে করে আমরা কেউ ভাল নেই। প্রাণ ফিরে পেতে প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। আমাদের প্রাণের উপর আঘাত আসলে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তিনি আরো বলেন, আজ সারা দিন কসবা বিভিন্ন কলেজ পরিদর্শন করা হয়েছে। কোথাও কোনো ঘাটতি পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply