শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ অপরাহ্ন

কসবায় ভূমিদখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন

কসবায় ভূমিদখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন

আবুল খায়ের স্বপন।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কুটি ইউনিয়নের ইয়াকুবনগরে ভূমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে গৌরিপুর গ্রামের মো. আশরাফুল ইসলাম ও তাঁরসহযোগীদের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগিদের পক্ষে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় কসবা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন গঙ্গানগর গ্রামের মো. ফারুক ইসলাম।

মো. ফারুক ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য ও গঙ্গানগর গ্রামের আইয়ুব আলী ভূইয়ার পুত্র। সংবাদ সম্মেলনেফারুক ইসলাম অভিযোগ করেন, কুটি ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের সেনা সদস্য আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে এলাকায় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর চাচা শাহজাহান গত ০১ মার্চ ঢাকা মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের মেজর জেনারেল মোঃ জোবায়ের সালেহিন বরাবর প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে গত ১৩ মার্চ বিকেলে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গঙ্গানগর গ্রামের শাহজাহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর হামলা চালায়। বিষয়টি সেনাবাহিনীর উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ ও থানায় লিখিত অভিযোগ করা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মো. ফারুক ইসলাম আরো অভিযোগ করেন গৌরিপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের জামাতা সেনা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ও মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন, নুরুল আমিন, নেওয়াজ শরীফ ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী দুলাল মিয়ার নেতৃত্বে ইয়াকুবনগর ফিশারিজ এন্ড এগ্রো প্রকল্পের সীমানা ২০ফুট ভিতরে এনে সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, শরৎনগর গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী জিএম শহিদুল্লাহ ও লেশিয়ারা গ্রামের মো. শিশু মিয়ার জমি ১৫/২০ বছর যাবত দখল করে রাখছে আশরাফুল ইসলাম ও তঁার সহযোগীরা।

ফারুক ইসলাম বলেন, গত ২২ অক্টোবর এলাকার সাহেব সর্দারগনের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের ৭জন সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধারন করে খুটি বসানো হয়। কিন্তু পরবতর্ীতে ওই ভূমিদস্যুরা রাতের অন্ধকারে সীমানা পিলার তুলে ফেলে এবং আমাদের জায়গার ২০ ফুট ভিতরে সীমানা খুটি বসিয়ে দখল করে নেয়। সংবাদ সম্মেলন ফারুকের চাচা শাহজাহান অভিযোগ করে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মীমাংসার নামে দুলালের মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা তার নিকট চঁাদা দাবি করেন ওই আশরাফুল ইসলাম।

ভুক্তভোগিদের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,আবদুল বারেক ভূইয়া, মো. তাজুল ইসলাম, গাজী মো. বিল্লাল, ওসমান মিয়া, ঝর্ণা আক্তার, মো. জাহাঙ্গীর, মো. শিশু মিয়া, মো. শাহজাহান
মিয়া ও কুদ্দুছ মিয়া। ভুক্তভোগিরা আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দুলাল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন।
এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে গতকাল বিকেলে আশরাফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিগত ৩ বৎসর যাবত তিনি এলাকায় আসেননি। ২০১৯ সালে ১৮ অক্টোবর তার শ্বশুর আব্দুর রশিদ মারা যাওয়ার পর তার নামাজে জানাজায় এসেছিলেন। গৌরিপুর গ্রামে ৪৩ শতাংশ জায়গা ছাড়া আমার কোন সম্মত্তি নেই। আমার শ্যালক রুহুল আমিন, নুরুল আলম ও নেওয়াজ শরীফের বেশকিছু জায়গা জমি রয়েছে ইয়াকুবনগর এলাকায়। এসব জায়গা নিয়ে আইয়ুব ‘আলী ভূইয়ার সাথে সীমানা নিয়ে তাদের বিরোধ রয়েছে। আমার সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD