লিয়াকত মাসুদ কসবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবায় রোপা আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে সোনালি ধান তোলার ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা থাকলেও দমিয়ে রাখতে পারেনি প্রান্তিক লড়াকু কৃষক সমাজকে। উপজেলা কৃষি সম্প্র্সারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ফসল ফলিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সেই ফসলের সবুজ-সোনালি ঢেউ এখন কৃষকদের স্বপ্ন দেখায় ভালো ফলন আর ভালো দামের। দিগন্তজোড়া সবুজ ধানক্ষেত দিনে দিনে হয়ে উঠছে সোনালি বরণ। হিমেল হাওয়ায় দুলছে সোনালি ধানের শীষে চলছে ব্যস্ততা নবান্নের উৎসব জানান। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এরইমধ্যে সে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অর্জিত ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে উফশি, রঞ্জিত, বিআর-২২, বিআর-২৮, বিআর-৪৯, বিআর-৮৭, স্বর্ণবাসুরী, পায়জাম, কালোজিরা প্রভৃতি জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার ভিবিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধানক্ষেতের মধ্যে পোতা বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডালের উপর বসে ফিঙ্গে, শালিক, দোয়েলসহ নানা প্রজাতির পাখি সুযোগ বুঝে ধান গাছের ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকাসহ প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ধান কাটার সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ইঁদুরের আক্রমণ না থাকায় ভালো ফলন হয়েছে এবিষয়ে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, কসবা পৌর এলাকাসহ ১০টি ইউনিয়নে আমন ধানের সোনালি ঢেউ খেলছে প্রদত্ত বিনামূল্যের সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি উপকরণসহ সব কৃষি সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছে কৃষকদের মধ্যে। আমিসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকের জমিতে গিয়ে ফসলের পরামর্শ দিয়েছি আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ থাকায় রোপা আমন ধান ভাল হয়েছে।
Leave a Reply