নিউজ ডেস্ক।।
ছবিঃ সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করছেন দলের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। গণঅনশনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটিসহ শীর্ষপর্যায়ের সব নেতারা অংশ নিয়েছেন।
এতে স্বাগত বক্তব্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না। শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের গণঅনশন কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় গণঅনশনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
এদিন সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের নিচতলায় অবস্থান নিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে আশেপাশের সড়কগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে যানজট। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই গণঅনশন কর্মসূচি চলবে। এই কর্মসূচি থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
ঢাকার মতো দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও জেলাগুলোতেও সকাল ৯টা থেকে অনশন কমর্সূচি পালিত হচ্ছে, বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে’ জানিয়ে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব। খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এই প্রথম কমর্সূচি পালন করছে দলটির।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply