স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
খুলনার দাকোপের হরিণটানা গ্রামের গৃহবধূ নীলিমা মন্ডলকে মারধোর ও স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর আসামীরা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক বুশরা সাইয়্যেদা তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেছেন। দ-প্রাপ্ত আসামীরা হলেন খুলনা জেলার দাকোপ থানার হরিণটানা গ্রামের মৃত. রামদাস এর ছেলে আন্দ্রিয় মন্ডল (৫০), আন্দ্রিয় মন্ডলের দু’ছেলে শিপন মন্ডল (২৮) ও রিপন মন্ডল (২৫)। আন্দ্রিয় মন্ডল মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এর ট্রাফিক শাখায় পরিছন্ন কর্মি হিসেবে কর্মরত।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৯ জুলাই জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামী আন্দ্রিয় মন্ডল ও শিপন মন্ডলকে ৩২৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের সশ্রম কারাদ-, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- এবং আসামী রিপন ম-লকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদ-, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপীল করে। ২০১৮ সালের ২০ মার্চ আদালত পুর্বের রায় বহাল রাখে। পরে আসামীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপীল করে। মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতে আসে। চলতি বছরের ১৬ জুন আদালত পুর্বের রায় বহাল রেখে আসামীদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রদান করে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা জেলার দাকোপ থানার হরিণটানা গ্রামের গৃহবধূ নীলিমা মন্ডল তার বসত বাড়ির সীমানার মধ্যে ঘাস পরিষ্কার করে ঘেরাবেড়া দিচ্ছিল।
এসময় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা নীলিমা মন্ডলকে মারধোর করে এবং স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় নীলিমা মন্ডল বাদী হয়ে আন্দ্রিয় মন্ডল, শিপন মন্ডল, রিপন মন্ডল, শিমুল মন্ডল ও দুলু মন্ডলের বিরুদ্ধে দাকোপ থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং-২১। ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুল গনি ৫জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
Leave a Reply