স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
– খুলনার দাকোপের কালাবগীতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত টেকসই বেড়ীবাঁধ হস্তান্তরের আগেই ভয়াবহ ভাঙনের মুখে। তাৎক্ষনিক পানি আটকানো সম্ভব হলেও ঝুকিমুক্ত হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে প্রস্তাবিত ২০০ মিটার টেকসই বাঁধের কাজ দ্রুত শুরুর অপেক্ষায়।
খুলনারর সুন্দরবন উপকুলিয় দাকোপের ৩২ ও ৩৩ নং পোল্ডারে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে টেকসই বেড়ীবাঁধ। চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করেছে। নব নির্মিত বাধ এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট হস্তান্তর করা হয়নি। কিন্তু তার আগেই বাঁধের বিভিন্ন অংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৩২ নং পোল্ডারের আওতায় কালাবগী বৃহস্পতিবাজার এলাকায় আনুমানিকট ১০০ মিটার বেড়ীবাঁধ মুহুর্তের মধ্যে ভেঙে নদী গর্ভে চলে যায়। ফলে সদ্য রোপনকৃত আমন ফসল বাঁচাতে ইউনিয়নবাসীর মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মাইকিং করে প্রায় ৩/৪ শ’ শ্রমিক কাজ করে তাৎক্ষনিক পানি আটকাতে সক্ষম হয়। এ দিকে ভাঙনের খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য কবির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির, চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউপি সদস্য নিমাই মন্ডল, মহসিন শেখ, মোন্তাজ সানা, আইয়ুব ঢালী, বেবী নাজনিন, খোকন ঢালী, জাহিদ ফকিরসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ভাঙনের তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে লোকালয়ে পানি প্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শ্রমিক লাগিয়ে কাজ করানো হয়। একই সাথে বিকল্প বাঁধ নির্মানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির বলেন ঝুকিপূর্ন বাঁধের পিছন থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বিকল্প বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হচ্ছে। তিনি আরো বলেন বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে করা বাঁধের সুতারখালী ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ অনুরুপ ঝুঁকির মুখে। খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য কবির হোসেন কালাবগীর আমিনুর সানার বাড়ী, কালাবগী এইট ব্যান্ডের গেট হতে নলিয়ান শাহাবুদ্দিন সানার বাড়ী, সরকার বাড়ী, জালাল গাজীর কল গৈ ও লতিফ সানার কল গৈ এলাকার বেড়ীবাঁধ অনুরুপ ঝুঁকির মুখে আছে বলে দাবী করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের পিছন দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ বিকল্প বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া সেখানে জিও ব্যাগ ও ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি ২০০ মিটার টেকসই বাঁধ নির্মানের প্রক্রিয়াটি শেষ ধাপে বলা যায় দ্রুতই কাজ শুরুর অপেক্ষায় আছে। তবে এলাকাবাসীর মন্তব্য বাঁধ নির্মানের সময় আমরা একই সাথে ভাঙন প্রতিরোধের দাবী জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেটি আমলে না নেওয়ায় শত শত কোটি টাকার বাঁধ কোন কাজে আসছে না। তারা যে কোন মূল্যে টেকসই বাঁধ নির্মান প্রকল্পে ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা যুক্ত করার দাবী জানিয়েছে।
Leave a Reply