চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পরই বেড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এক শিক্ষার্থীর বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর মাধ্যমে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। এরপর স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফুজিয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানকার সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের করোনা পরীক্ষা করা হবে। ঘোষণার ৪ দিনের ব্যবধানে ফুজিয়ানে ১০০ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল হুবেই প্রদেশের উহান থেকে। এরপর সেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও আসে। উহানের পর করোনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটি হলো নানজিং। এই এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে এক মাস আগে। এরপর ফুজিয়ানের পুতিয়ান শহরে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। এই শহরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। আশঙ্কা করা হচ্ছে, উহান ও নানজিংয়ের মতো ভুগতে পারে পুতিয়ান শহরও।
এদিকে যে শিশুটির বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ৩৮ দিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন। ১০ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যদিও সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর তিনি ২১ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। চীনের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। সব পরীক্ষায় নেগেটিভ ছিলেন তিনি। তাই এটা পরিষ্কার নয়, তিনি সিঙ্গাপুর থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফিরেছিলেন কি না।
পুতিয়ানে ইতিমধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেখানকার সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুতিয়ানবাসীর চলাচলের ওপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। কারও পুতিয়ানের বাইরে যেতে হলে তাঁকে করোনা নেগেটিভের সনদ দেখাতে হবে। এ জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এ ছাড়া পুতিয়ানের সিনেমা হল, জাদুঘর, লাইব্রেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply