বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা

জাতিসংঘ দিবস আজ

নিউজ ডেস্ক।।
ছবিঃ সংগৃহীত
আজ জাতিসংঘ দিবস। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হবে। ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে জাতিসংঘ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত এই সংস্থা কালের পরিক্রমায় কলেবরে অনেক বেড়েছে। ৫১টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে ১৯৪৫ সালে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। সারা পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন দ্বন্দ্ব নিরসনে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও উন্নয়নের জন্য কাজ করছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ শুভক্ষণে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতি অটল থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। বিগত ৭৬ বছরে জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নসহ বহু ক্ষেত্রে মানব জাতির সমৃদ্ধিতে পাশে থেকেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে রূপ লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় ঘোষণা ‘বাঙালি জাতি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করছে, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সব মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে’- আমাদের জনগণের জন্য নির্দেশনামূলক নীতি হিসেবে কাজ করে।

১৯৪৫ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে জাতিসংঘ। তার আগে গঠিত লিগ অব নেশনস বিলুপ্ত হওয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আরেকটি সংস্থা গঠনের তীব্র প্রয়োজন অনুভূত হয়। মূলত তা থেকেই বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতার এই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি গঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২৪ অক্টোবর এ দিনটি সদস্য দেশগুলোতে পালিত হয়ে আসছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রায় চার বছরের চেষ্টা ও ধারাবাহিক আলোচনার পর ১৯৪৫ সালের এই দিনে প্রাথমিকভাবে ৪৬টি সদস্য দেশ জাতিসংঘ সনদকে অনুসমর্থন দেয়। ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতিসংঘ সনদ অনুমোদনের দিনে ১৯৪৮ সালে এ দিবস পালনের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। সে থেকে জাতিসংঘ দিবস ২৪ অক্টোবর বিশ্বের সকল স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে উদযাপিত হয়ে থাকে। দিবসটিতে জাতিসংঘের বৈশ্বিক অর্জন ও উদ্দেশ্যকে জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সদস্য দেশসমূহে দিবসটিকে ছুটির দিন হিসেবে পালনের জন্য সুপারিশ করে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD