ছবি: সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী বিমানটি। বিমানবন্দরে মোদিকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বিষয়ক সর্বশেষ টুইট বার্তায় তার চূড়ান্ত প্রস্তুতির কথা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পিএমও ইন্ডিয়ার ৮টা ২৩ মিনিটে প্রচারিত এক সচিত্র টুইট বার্তায় মোদি ঢাকাগামী বিমানে ওঠছেন বলে জানানো হয়। বলা হয়, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এই সফরে বহু কর্মসূচিতে অংশ নিবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে মোদির এ সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
গত রাতে একাধিক টুইটে বাংলাদেশ সফর নিয়ে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
টুইট বার্তায় মোদি লিখেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশীসুলভ ও অংশীদারিত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান। আমরা এটিকে আরো গভীরতর করতে ও সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন যাত্রা সমর্থন করি।’
তিনি লিখেন, ‘আমি কাল বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা করবো। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ স্মরণ করার প্রত্যাশায় রয়েছি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উদযাপনের পাশাপাশি আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই।’
তার এই টুইটে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির লিংকও ছিল। যেটি ভারতীয় প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে মোদি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবো। আমি আনন্দিত যে, করোনা মহামারির পর বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আমার প্রথম বিদেশ সফর, যাদের সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত সম্পর্ক বিদ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উদযাপনে আমি আমার অংশগ্রহণের প্রত্যাশায় রয়েছি, যা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীও উদযাপন করবে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন গত শতাব্দীর অন্যতম দীর্ঘ নেতা, যার জীবন ও আদর্শ লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তার স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আমি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি দেখার অপেক্ষায় আছি।’
‘আমি পৌরাণিক ঐতিহ্যের ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে দেবী কালিকে প্রার্থনা করার অপেক্ষায় রয়েছি। বিশেষত ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার আলাপচারিতার প্রত্যাশায় আছি, যেখান থেকে শ্রী শ্রী হরিচন্দ্র ঠাকুর তার শুদ্ধ বাণী প্রচার করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিষয়ে আলোচনায় বসবো। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এছাড়াও আমি অন্যান্য বাংলাদেশি বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের অপেক্ষায় রয়েছি।’
Leave a Reply