কলকাতা প্রতিনিধি।।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও ব্রায়েনকে সঙ্গী করে নবান্নে গিয়ে ঘোষণা মত মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণের বৈঠক হয় বাবুলের। সোমবার নিজে গাড়ি চালিয়েই নবান্নে যান বাবুল। আর সেখানে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উষ্ণ অভ্যর্থনায় রীতিমতো আপ্লুত হয়ে যান আসানসোলের সাংসদ। এদিন নবান্ন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবুল বলেন, ‘অন্য এক জায়গা থেকে আসার পর এতটা ভালোবাসা পেলে খুব ভালো লাগে। আমার উপর মমতা দি, অভিষেক এতটা ভরসা রাখছে দেখে খুব ভালো লেগেছে।’
তৃণমূলে যোগ দিয়েই বাবুল বলেছিলেন, যে দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হচ্ছে, তা রীতিমতো অপ্রত্যাশিত। কিন্তু কী দায়িত্ব তা আগেও খোলসা করেননি বাবুল, এদিনও করলেন না। তৃণমূলে এসে তাঁর কী দায়িত্ব হতে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এদিনও বাবুল বলেন, ‘আমি পরিস্কার বলে দিতে চাই, আমার কী দায়িত্ব সেটা দিদিই বলবেন, আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না। দিদি অত্যন্ত ভালোবাসা দিয়েছেন। আমার বাড়ি দিদির অফিস থেকে দেখা যায়। আমার উপর যে ভরসা রাখছেন উনি, আমি তার পূর্ণ মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এদিনের বৈঠকের পরও ফের বাবুলের উদ্দেশ্যে ধেয়ে আসে ঝালমড়ি প্রসঙ্গ। বাবুল অবশ্য তাতে না ঢুকে, মুড়ি নিয়ে ‘দিদি’ তাঁকে কী কী উপদেশ দিয়েছেন, তার বিবরণ তুলে ধরেন। বাবুলের কথায়, ‘উনি বলেছেন, মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে। কোন মুড়ি খেতে হবে সেটাও উনি বলে দিয়েছেন।’ গান নিয়ে কোনও কথা? বাবুলের উত্তর, ‘অবশ্যই। সুন্দর মিউজিক্যাল আলোচনা হয়েছে। আমাকে বলেছেন, পুজোর সময়ও গান করতে। আমার জন্য দিগন্ত খুলে গেল। আমি নিজের সর্বোচ্চটুকু দেব। অন্য শিবির থেকে এসে এত ভালোবাসা পেয়ে আমি মুগ্ধ।’ এদিন নবান্ন ছাড়ার আগে বাবুল অবশ্য গেয়ে যান, ‘আহা কী আনন্দ, আকাশে বাতাসে।’
Leave a Reply