রাকিব মাহমুদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা ইস্যুতে হয়েছে সমালোচিত।
সম্প্রতি চুল কাটা ইস্যুতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যেনো সকল সমালোচনার শীর্ষে। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ প্রায় দুই বছর করোনার কারণে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুললে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবার প্রাণ ফিরে পায় রবিবার ক্যাম্পাস।সেই সাথে শিক্ষার্থীরা ও একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পরীক্ষায় বসে।কিন্তু বিপত্তি ঘটে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ১ম বর্ষের পরীক্ষার সময়। উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দিলে শুরু হয় তীব্র আন্দোলন।কয়েক দফা আন্দোলনের পরে টনক নড়ে ইউজিসির। ইউজিসি তদন্ত কমিটি পাঠালো আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে আন্দোলন কারীরা।ইউজিসির তদন্ত কমিটি ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নেয়।
শিক্ষার্থীরা এর মধ্যে পরীক্ষায় বসতে চাইলে নানা জটিলতার কারণে তারা পরীক্ষায় বসতে পারছেনা।
এদিকে গত ০৮ নভেম্বর প্রথম আলোতে স্ত্রী, ভাই,ভাবি, শালক বাদ যাননি কেউই এই শিরোনামে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের চাকরির ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির কথা উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবার উত্তেজনা তৈরি হয়।
পরের দিন ০৯ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেই।পরের দিন মানববন্ধন করার সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ মানববন্ধনের পক্ষে আর একটি পক্ষ বিপক্ষে অবস্থান নিলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।এক পর্যায়ে মানববন্ধন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ও শাহজাদপুরের সচেতন ব্যক্তিবর্গ ১২ নভেম্বর জনৈক ব্যক্তি জামিনুর রহমানের নামে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।তারা অভিযোগ করে জামিনুর রহমান এর আগেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে তাই আমরা তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করছি।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একের পর এক আন্দোলনে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা।এদিকে বন্ধ আছে পরীক্ষা। অনেক শিক্ষার্থীরা ভুগছে মানসিক দুশ্চিন্তায়।রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলে,দীর্ঘ প্রায় ২ বছর হল একই বর্ষে আছি মাঝখানে পরীক্ষার তারিখ হলেও আন্দোলনের কারণে সেটাও বন্ধ। এদিকে পরিবার থেকে যখন জিজ্ঞেস করে পড়ালেখা শেষ হতে আর কতদিন।তখন আর উত্তর দিতে পারিনা।তাই আমরা খুব তাড়াতাড়ি পরীক্ষায় ফিরতে চাই।
করোনার মহামারীতে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে,ইতিমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ফাইনাল পরিক্ষা নিয়ে তাদের পরবর্তী বর্ষের ক্লাস নিচ্ছে।এমতাবস্থায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সঙ্কায় দিন পার করছে।
Leave a Reply