শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
নোয়াখালীতে তিন ব্যাংক কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড, ৭৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড

নোয়াখালীতে তিন ব্যাংক কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড, ৭৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে দুদকের দায়ের করা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী ফেনী শাখার তিন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধারায় ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসাথে আসামীদের ৮১লাখ টাকা অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে জেলা জজ আদালতের বিশেষ জজ (জেলা জজ) এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন, সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার ম্যানেজার মো. রহিম উল্যাহ খন্দকার, শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ও সহকারি অফিসার মো. মিজানুর রহমান।

দুদকের করা দুর্নীতি মামলায় আদালত প্রত্যেকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও প্রতারণার দায়ে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সাব রেজিস্ট্রার মতিগঞ্জ, সোনাগাজীর দলিল রেজিস্ট্রিতে ব্যবহৃত ও সরকারি খাতে জমার জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২০-২৫টি বান্ডিল একত্রে চালানে পে-অর্ডার নম্বর, টাকা ও তারিখ উল্লেখ করে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়।

দন্ডপ্রাপ্ত তিনজন জমাকৃত ১৯লাখ ৩৬হাজার ১৬৫টাকার ১৬৬টি পে-অর্ডার সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অংক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন ও সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সাথে ফেরত আসা পে-অর্ডার গায়েব করে নিজেরা গ্রাহকের ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।

পরে এ ঘটনায় দুদক নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার বাদি হয়ে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদক নোয়াখালীর তৎকালীন সহকারি পরিচালক মো. মশিউর রহমান।

দুুদকের পিপি মো. আবুল কাশেম জানান, রেজিস্ট্রি অফিসের পে-অর্ডারের সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত চারটি ধারায় ৩১ বছরের কারাদন্ড ও ৮১ লাখ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD