নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে পৃথক পৃথক স্থান থেকে ৩টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, মো. সফিকুল ইসলাম (৮০) সেনবাগের বসন্তপুর গ্রামের সুজ্জাত আলীর ছেলে, জান্নাতুল ফেরদৌস (১৬) বেগমগঞ্জের মীরওয়ারিশপুর গ্রামের মো.সোলায়মান কমান্ডারের মেয়ে ও আফিদা আক্তার (৩) কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সুমনের মেয়ে।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা ও গতকাল সকালের দিকে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
সেনবাগ থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেনবাগ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সফিকুল ইসলাম (৮০) তার নিজ বাড়ির দরজায় অবস্থিত বায়তুজ্জামান জামে মসজিদের ফ্লোর পানি দিয়ে পরিষ্কার করার জন্য বৈদ্যুতিক মটর চালু করে। এ সময় মটরের নলের সাথে পানির পাইপ লাগাতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী আল হাদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। এ ঘটনায় আইনগত প্রদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ রামপুর ইউনিয়নে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়। নিহত আফিদা আক্তার (৩) উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সুমনের মেয়ে। সকাল ৯টার দিকে বসত ঘরের সামনের উঠানে খোলাধুলা করার সময় সবার অগোচরে ঘরের সামনে পুকুরের পানিতে পড়ে যায় আফিদা। পরবর্তীতে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুজি করে কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে ঘরের সামনে পুকুরে নেমে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে পুকুরের দক্ষিণ দিকে ঘাটলার পাশে পানিতে ডুবন্ত অবস্থা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৬) বসত ঘরে নিজ শয়ন কক্ষে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে নিজের পরিহিত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর গ্রামের মো.সোলায়মান কমান্ডারের মেয়ে। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply