বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
বঙ্গবন্ধুর সাথে-স্মৃতিতেঃ সবই যেন চাঁদ দেখা

বঙ্গবন্ধুর সাথে-স্মৃতিতেঃ সবই যেন চাঁদ দেখা

এ এইচ এম নোমান

‘‘World Thinkers’ and Writers ‘Peace Meet’ ২৭-৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ কলকাতায় ছিলাম। গান্ধীজির ১৫০ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উৎসর্গ করা হয়েছে এই মিট। শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর বেকার হোস্টেল ভিজিটে যাই। হোস্টেল সহ সুপার মিঃ সলিলের ভিডিও ধারা-বর্ণনার এই সার লিখা।

স্মৃতিঃ কোলকাতার বেকার হোস্টেলের পুরোনো দিনের অভিজাত কাঠের শব্দ পায়ে সিঁড়ি বেয়ে তিন তলায় উঠে বাম দিক হয়ে ডান কর্ণারের রুমটিতে থাকতেন। তিনি ছিলেন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র। যে সিঁড়ি দিয়ে উঠেছি তা এখন থেকে ১শ ১০ বছরের পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমি এখন জাতির পিতার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে আছি এবং খুব excited বোধ করছি। পাশের কক্ষে অনেকগুলো ছবি, তন্মধ্যে বঙ্গবন্ধু হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী- এর সাথে তাঁর ইয়াং বয়সের ছবি, ইন্দিরা গান্ধীর সাথে, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে যখন ঢাকায় আনা হয় তার একটি ছবি। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক এবং বঙ্গবন্ধুর লিখাসহ কিছু মূল্যবান পুস্তক এই মিনি লাইব্রেরীতে স্থান পেয়েছে। হোস্টেল দালানটা কিন্তু লাল রঙের যা ব্রিটিশদের শোষণের একটি প্রতীক। এই লাল রঙকে আমরা বহন করলেও একে আমাদের শৌর্যে এবং স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছি তা স্মরন করতে হবে। সবুজ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এ মুহূর্তে আমার গায়ের লাল-সবুজ জামাটির কথা মনে আসছে। জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রংয়ের জাতীয় পোশাক হবে এই আশাবাদ। হোস্টেলের বঙ্গবন্ধুর কক্ষের পাশের মাঠে গাছগুলো তাঁর স্মৃতি বহন করে। সেগুলো বঙ্গবন্ধুর আমলেও ছিল কারণ গাছের চেহারায় ও বয়সে বোঝা যায়। যেন সেদিনও বঙ্গবন্ধু দোতলা জানালা-গাছের ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো-মুক্তির স্বপ্ন এখান থেকেও দেখতেন।
আমি আবেগে আপ্লুত। বঙ্গবন্ধু যে রুমে থাকতেন আমি সেই রুমে। তাঁর সেই চেয়ার। উনি যে খাটে শুতেন-ঘুমাতেন তা ৩ থেকে ৪ ফুট চওড়া হবে। যে চেয়ারে বসে পড়তেন সে চেয়ারে অনেক সাহস সঞ্চার করে বসলাম-ছবি নিলাম। এই কাঠের চেয়ারটা একশ বছর উপরের পুরোনো হবে, পড়ার টেবিলটা সেই রকমই আছে। জানালা এবং দরজাটা আগের মতোই আছে। শুধু দেয়ালে নতুন কাঠের কাজ করা হয়েছে। এছাড়া বেশিরভাগই অরিজিনাল। আমি জাতির পিতার ছাত্র অবস্থার রুমে বসা। এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কি হতে পারে ! তিনি জান্নাতবাসী হউন। বঙ্গবন্ধু যেই রুমটাতে ছিলেন কক্ষ নং ২৪। তার পাশের রুমটার মাঝখানে দরজা করা হয়েছে। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি স্মৃতি কক্ষ ফলক উন্মোচন করেন। ফলকে বঙ্গবন্ধু এখানে ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে ছিলেন লেখা আছে। পলকহীন দৃষ্টিতে সেখানে দাঁড়িয়ে আছি। তাঁরই সেই হোস্টেলে এখন বাংলাদেশের দুজন ছাত্র ভোলার আবিদ ও বরগুণার রিয়াজুল আবাসিক, পড়াশোনা করছে। বেকার হোস্টেল প্রতিষ্ঠা থেকেই সরকারী ব্যবস্থাপণায় এবং এখানে সবাই মুসলিম ছাত্র। স্মৃতিকক্ষের পাশের দেয়ালে ঝুলানো বঙ্গবন্ধুর কাঁধে আদুরে জড়ানো তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার ছবি দেখে খুব তৃপ্তিবোধ করছি। আর ভাবছি সব বাবাই তাঁর মেয়েকে ভালোবাসেন কিন্তু তার প্রকাশ করতে পারেন না। কারন এখনও অনেক মানুষ গরীব, অর্থনৈতিকভাবে শোষিত। তাই এই মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) দারিদ্র বিমোচন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্মৃতি রক্ষার জন্য সেই পুরাতন আমলের কাঠের চেয়ার আসবাবগুলো যত্ন সহকারে ইতিহাসের স্বাক্ষী হিসেবে সংরক্ষণ করছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ। এছাড়া মমতা দির (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী) প্রতি আমাদের এমনিতেও দূর্বলতা আছে। তিনি আমাদের পড়শী, খেয়াল করেন। বাংলাদেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা আছে। তিনি শাড়ী পরেন, তার চেয়েও বড় কথা সুতি শাড়ী পরেন। সবাই এরকম সাধারণ হয়ে চলতে পারি না। বেকার ও ইলিয়ট হোস্টেলের মাঝখানে একটি মসজিদ আছে। চারদিকে চারটি গম্বুজ বিশিষ্ট একতলা একটি মসজিদ। প্রাকৃতিকভাবে, দুনিয়াবীভাবে এবং আখিরাতের চিন্তাও এখানে থেকে করা যায়। এটা বিশাল একটা যোগ। এখানে বিয়োগের কিছুই নাই। তখন তো তিনি বঙ্গবন্ধু হন নাই, শেখ মুজিবুর রহমান। এই মসজিদ এই পরিবেশ এই সবুজ গাছগাছালি এই আকাশ, বাতাস, মাটি-মানুষ-মালিকানা (মা), চাঁদ, সুরুজ পবিত্রতা সব কিছু মিলেই মানুষের প্রেম নিয়েই উনি জাতির পিতা হতে পেরেছেন। এটারও একটা বিশাল স্বাক্ষ্য দেয় এই বেকার হোস্টেল। বাংলাদেশ সরকারের টাকায় বঙ্গবন্ধু হোস্টেলের যে রুমটায় থাকতেন তার পাশের জায়গায় একটা নতুন বিল্ডিং ও বাংলাদেশ হোস্টেল হয়েছে এবং একটি মাঠও আছে। আমাদের বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মেলবন্ধন এখানেও ফুটে ওঠে। হোস্টেলের গেট দিয়ে বের হতে দেখলাম ইংরেজিতে লেখা স্থাপিত ১৯১০ইং। বেকার গভর্নমেন্ট মুসলিম হোস্টেল, ৮ স্মিথ লেন, কোলকাতা ৭০০০১৩। সাত আর তের অংকে লেখা দেখে ভালো লাগল যে, জনশ্রুতিতে লাকি সেভেন হলেও আমার বেলায় আনলাকী থার্টিন প্রায় সময়ই লাকী। সেভেন ও থার্টিন উভয়টি এই বঙ্গবন্ধুর বেকার হোষ্টেলে দেখে আজ আমি ডাবল লাকী মনে করছি।

সাথেঃ নভেম্বর ১৯৭০ এর ১৬ তারিখ। তৎকালীন ভোলা মহকুমার দৌলৎখাঁ থানার হাজীপুর (নদীগর্ভে) ইউনিয়নের জগাপাতা ঘোলপাড় নদী নৌকা ঘাট। বঙ্গবন্ধু লঞ্চযোগে ১৯৭০ এর ১২ নভেম্বর জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীসহ সাহায্য সাহস ও সুখ দুঃখ দূর্দশা ভাগাভাগি করার জন্য বন্যা কবলিত দূর্গত মানুষের কাছে মানবিকতা নিয়ে এসেছেন। জন্ম-বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় কান্না কণ্ঠে দাদী মায়মনা বেগম বললেন Ñআবু (ডাক নাম) চাঁন্নিপর (চাঁদ) রাত-রোজা মাস না হলে আরো কত প্রাণ যে যেত আল্লাহ্ই জানেন। নদীর পূর্বপার আলেকজান্ডার (রামগতি) বন্যা পরবর্তী অবস্থা দেখার জন্য যাব। ঘাটে বঙ্গবন্ধুকে দেখে আকুলভাবে আবেগে কাছে এগিয়ে গেলাম। এ যেন দিনের বেলাই চাঁদের আলো দেখা।
আসসালা মু আলাইকুম,আমি নোমান,ছাত্রলীগ করতাম,সিএ পড়ি,
এখানে আমার বাড়ী-জন্ম ভূমিতাই বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এলাম।
বঙ্গবন্ধু, ও তুই নোমান! জি¦ হ্যাঁ।কেমন দেখলি অবস্থা?
এক কথায় ভয়াবহ।
এখন এখানে কি?
ওপার যাব-সেখানে আমার পিত্রালয়, আব্বা আম্মা থাকেন ও বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাব।
বঙ্গবন্ধু, যা-যা দেখ কি করা যায়। ঠিক আছে, কাজে লেগে যা- কাজে লেগে যা।
এই তোফায়েল দেখ, তোমারই এলাকার ছেলে। ভাল, এদেরকে দিয়ে কাজ হবে। ভাল ভাল।

পথসভাঃ ৭০’র বন্যা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রচারণায় বঙ্গবন্ধুর আলেকজান্ডার গমন। বাজারের বড় পুকুরের উত্তর পশ্চিম কোণার রাস্তার পাশে বিশাল বটতলায় পথসভা। এমপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ভাই ছিলেন।
বক্তব্য শেষে মাইক ছেড়ে দিতে দিতে বঙ্গবন্ধু আমাকে বললেন,
‘কি নোমান, তুমি এখানে কি কর?’
আমি বললাম Ñকৃষি ও মৎস্যজীবিদেরকে নিয়ে সমবায়ের মাধ্যমে কাজ করছি।
‘তা ভালো। ভোটের কাজ কর না ?
জ্বী, তাতো করি-ই।’
‘কি সিরাজ, নোমান ভোটের কাজ করে না?
সিরাজ ভাই হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন, Ñ জ্বী, অবশ্যই করেন।’
বঙ্গবন্ধু বললেন,Ñআচ্ছা, ঠিক আছে। সমিতিও করো, ভোটও করো।’
এই যে ঠিক আছে’ বলা তা অদ্যাবধি বহন করে চলছি।

কর্মযোগঃ হায়ানা পাকিস্তান কারাগার থেকে প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু সর্ব প্রথম যে চর-গ্রামে যান স্বেচ্ছাশ্রম-উৎপাদন গ্রামোন্নয়নের ডাক দেন, সেই গ্রাম নাম চর পোড়াগাছা, রামগতি, জেলা তৎকালীন নোয়াখালী। রামগতি আমার জীবন যৌবন কর্ম এলাকা।
২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২। বঙ্গবন্ধু এই দিনে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে ঝুড়িতে ফেলে নোয়াখালী-আলেকজেন্ডার সড়ক নির্মাণের ঐতিহাসিক স্বেচ্ছাশ্রমের কাজ উদ্বোধন করেন। আমি সেদিন বুকে অ-আ-ক-খ লাগিয়ে ৭/৮ হাজার সমবায়ী উৎপাদন যোদ্ধাসহ স্বেচ্ছাশ্রম কাজে অংশ নেই। স্থানটি এখন বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা নামে খ্যাত। তখনকার আমাদের সোয়াবিন উৎপাদন চাষ জেলা লক্ষ্মীপুর বর্তমান প্রজন্মের ভাষায় মাল্টি পারপাস ব্রান্ডিংকারদের সয়াল্যান্ড’। বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা ঘিরেই র্ডপ উদ্যোগে মাতৃত্বকালীন ভাতা ও স্বপ্ন প্যাকেজ উৎসারিত হয়। এ রামগতি থেকেই দেশের প্রথম বিশ^গ্রাম-গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎঃ ১৯৭৩ এপ্রিল মাস। বঙ্গবন্ধু তখন ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরস্থ কার্যালয়ে বসেন। রামগতি থানা কেন্দ্রীয় সমবায়
সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন। থানা কেন্দ্রেীয় সমবায়ের আমি প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী। ১৯৭০‘র ১২ নভেম্বর ভয়াল জলোচ্ছ্বাস ধ্বংসে এই সমবায়ের সৃষ্টি ও জন্ম। সমবায় নির্বাচন উপলক্ষ্যে উৎপাদন রাজনীতি কর্মগতি ধারা ও বাস্তবায়ন নীতি নিয়ে আমার সঙ্গে স্থানীয় ২/১ আওয়ামীলীগ নেতার মত প্রার্থক্য ও প্রতিদ্বন্ধিতা হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় এমপি সিরাজুল ইসলাম আমাকেসহ গণ ভবনে গেলেন। গেইট পার হয়ে ভেতরে কতটুকু গেলেই দেখি বিশালাকায় আমাদের জাতির পিতা তোফায়েল ভাইকে পাশে নিয়ে বীর শিরে ধীর হেঁটে ডান দিকের বিল্ডিং থেকে আর এক কক্ষের দিকে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু সিরাজ ভাইকে দেখে-কিরে সিরাজ!
ভাই, আসছিলাম নোমান সাহেবকে নিয়ে।
নোমানকে নিয়ে? কি হয়েছে?
আমাদের ওখানে সমবায় নির্বাচন। ফজলু মিয়া ওনার বিপক্ষে প্রতিযোগিতা করতে চায়।
বঙ্গবন্ধু, তা সে (ফজলু মিয়া) রাজনীতি করে। নোমান সমবায় কাজ কর্ম করে। ফজলু এখানে কেন?
‘এই তোফায়েল, দেখ, নোমানের এটা ঠিক করে দাও।’
বঙ্গবন্ধুর ঐ যে নোমানের এটা ঠিক করে দাও বলা‘ আমার পথ-দিক বাতলিয়ে দেয়া। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্নের অনুসারী হয়ে কাজ করা। এটাই আমার জন্য চাঁদ ছোঁয়া জীবন প্রাপ্তি। আল্লাহ সহায় হোন।
লেখকঃ
এ এইচ এম নোমান
মাতৃত্বকালীন ভাতার প্রবর্তক গুচি আন্তর্জাতিক শান্তি পদক প্রাপ্ত এবং ডরপ নামক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD