বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা
বাংলাদেশ আ:লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেক উকিলের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বাংলাদেশ আ:লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেক উকিলের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাবেক স্পিকার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুল মালেক উকিলের ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

রোববার (১৭ অক্টোবর) সকালে জেলা কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।

এসময় জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া বাধেরহাট আবদুল মালেক উকিল ডিগ্রি কলেজ, মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের আজকের দিনে মারা যান তিনি। ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর নোয়াখালী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে আবদুল মালেক উকিলের জন্ম। নোয়াখালী আহমদিয়া উচ্চ মাদ্রাসায় শিক্ষা জীবন শুরু করেন তিনি।

১৯৪৭ সালে তদানীন্তন যশোর জেলার মহকুমা মাগুরা কলেজ (বর্তমান সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) থেকে আইএ পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৯ সালে বিএ এবং ১৯৫২ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এবং ঢাকা হাইকোর্ট বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৬৬ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাদের নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন এবং সদ্য স্বাধীন দেশের সরকার চালিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে আবদুল মালেক উকিল ছিলেন অন্যতম। তিনি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।

১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে নতুন মন্ত্রিসভায় তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর আওয়ামীলীগ বিভক্ত হয়ে পড়লে ১৯৭৮ সালে দলটির একাংশের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে বিরোধীদলীয় উপনেতা নির্বাচিত হন তিনি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD