আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
আসো এক হই, অধিকারের কথা কই, প্রবাসীদের অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার।
এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশী নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হিসেবে অবস্থানরত আছেন যদিও বেসরকারি হিসেবে প্রায় ২ কোটি যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ। ইতিমধ্যে গত ০১/১০/২১ তারিখে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের আয়োজনে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর এর মাধ্যমে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের নিকট আবেদন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার বিকেল ৪: ৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ মালয়েশিয়া শাখা পেনাং বিভাগের উদ্যোগে গার্নি প্লাজার সামনে সাংগঠনিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল মামুন, মালয়েশিয়া কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মানিত সভাপতি মোঃ জাহিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সহ বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ মালয়েশিয়া শাখা পেনাং বিভাগের সভাপতি মোঃ রাকিব হাসান, সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রহমান, মো শাকিল হোসেন, মোঃ জারিফ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোঃ তোফায়েল আহাম্মেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দু উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা ১০ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেন। সমাপনী বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল মামুন বলেন, প্রবাসীদের এই ১০ দফা দাবি গুলি যেন অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয় সেই সাথে প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা নীতিনির্ধারকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ এর ১০ দফা দাবীগুলো হলঃ- ১/ প্রবাসে মারা যাওয়া সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের মৃতদেহ রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে নিতে হবে। ২/ প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটাধিকার চাই। ৩/ বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি বন্ধ চাই। ৪/ প্রবাসীদের জন্য যুগোপযোগী দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন ও পেনশন সুবিধা চাই। ৫/ পাসপোর্ট সংশোধনের সুযোগসহ দালালমু্ক্ত পাসপোর্ট ও দূতাবাস সেবা চাই। ৬/ প্রবাসী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন চাই।৭/ জাতীয় বাজেটে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ চাই। ৮/ বিদেশে কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীদের বৈধকরণে সরকারের সহযোগিতা চাই। ৯/ বিদেশে প্রবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত বাংলাদেশী দূতাবাস ও শ্রম কল্যাণ উইং চাই।১০/ অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ও প্রবাস ফেরতদের কর্মসংস্থান, সুদমুক্ত পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা চাই।
Leave a Reply