বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা
সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে নলছিটিতে গন অনশন

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে নলছিটিতে গন অনশন

আমির হোসেন , ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর ধর্ম অবমাননার মিথ্য আভযোগ তুলে মন্দির ভাংচুর, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও লুণ্ঠন করা হয়। এর প্রতিবাদে ঝালকাঠির নলছটিতে গণঅনশন কর্মসূচী পালিত করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা। শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত নলছিটি প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যৌথ ব্যানারে এই গণঅনশন কর্মসূচী পালন করা হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সভাপতি প্রান্তিক দাস পুটু’র সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচীতে যোগ দেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জনারধন দাস, সম্পাদক তপন কুমার দাস, উপজেলা বেশ কয়েকটি পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদকসহ উভয় কমিটির সদস্যগন।

গণঅনশন সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদক শুভাশীষ দত্ত প্রদ্যুৎ বলেন, ‘মিথ্যে অজুহাতে সংখ্যালঘুদের উপর পরিকল্পিত হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ, ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির সংস্কার ও হামলার শিকার নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জনারধন দাস বলেন, একটা স্বাধীন দেশে এমন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কখনো কাম্য নয়। যে বা যারা উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি।

বাংলাদেশের যেখানে হামলা, ভাংচুর হয়েছে সব জায়গায় সুষ্ঠু তদন্ত করে হামলাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য। শুধু এই হামলা নয়, এর আগে যেসব হামলা হয়েছে সেগুলোরও বিচার দাবি জানাচ্ছি। যাতে করে তারা আর এমন ঘটনা না ঘটাতে পারে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক তপন কুমার দাস’র সঞ্চলনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মিলন কান্তি দাস, তপন কুমার সেন, হরিসভা মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতি পরেশ চন্দ্র দাস, অশোক কুমার পালিত, কৃষ্ণ লাল চক্রবর্তী প্রমূখ।

উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর (বুধবার) দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। তারপর কুমিল্লা, চাঁদপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, গাজীপুর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ ওঠে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD