সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
সব্যসাচী লেখক, বিজ্ঞান কবি হাসনাইন সাজ্জাদী: সিলেট থেকে বিশ্ব সাহিত্যে কসবায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের পক্ষে নেতাকর্মীদের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরন ৭ই নভেম্বর: সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান এখন কবি আল মাহমুদের সময় দৈনিক ঐশী বাংলা’র জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন ১৭ জানুয়ারি-‘২৬ ঢাকার বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রিদিতা ইসলাম শ্রেয়া পুরস্কৃত কন্ঠের মুগ্ধতায় ও উপস্থাপনার নান্দনিকতায় আলোচিত এক নাম মাসুদ রানা বিশ্ববাঙালি সংসদ বাংলাদেশএর অভিষেক অনুষ্ঠিত বিশ্ববাঙালি সংসদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ২৭ সেপ্টেম্বর কসবায় চকচন্দ্রপুর ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় হিফজুল কোরআন বিভাগের ৪ ছাত্রের শেষ ছবক প্রদান
সুবর্ণচরের কৃষক আখ চাষে সাফল্য

সুবর্ণচরের কৃষক আখ চাষে সাফল্য

ইব্রাহিম খলিল শিমুল, নোয়াখালী।

আখ একটি রসালো ও মিষ্টি জাতের খাবার। আখ খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় সব জেলার মানুষের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়। তাই পারিবারিক চাহিদা মেটানো সহ স্থানীয়দের চাহিদা পূরণে নোয়াখালী সুবর্ণচরেও চাষাবাদ করা হয়েছে আখ। এতে বাজারে স্থানীয় আখের ব্যাপক চাহিদা ও ভালো মূল্য পাওয়ায় দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ উপজেলার কৃষকদের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের উঁচু এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা জমি গুলোতে আখের ভালো ফলন দেখা গেছে। ইতোমধ্যে স্বল্প পরিসরে আখ উত্তোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। বাজারজাত ও পরিবহনের ঝামেলা ছাড়াই ভালো দামে ক্ষেতের আখ নিজেরাই উত্তোলন করে স্থানীয় বাজারে খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করছেন কৃষকরা।

চর আমান উল্যাহ এর কৃষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ৯-১০ বছর আগে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার সেবার হাট থেকে আখ ক্রয় করে সুবর্ণচরে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতাম। গত ৬ বছর যাবৎ আর ক্রয় করতে হয় না। আমি নিজেই কাটাবুনিয়া গ্রামে ১৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটিয়ে পার্শ্ববর্তী বাজারেও বিক্রি করি। এবার বাড়ির আঙ্গিনায় ১০ শতাংশ জমিতে বিএসআরআই-৪১ জাতের আখ চাষাবাদ করি। অন্যান্য আখের চেয়ে এটি স্থানীয় বাজারে চাহিদা বেশ দামও ভালো।

তিরি আরও বলেন, গত কার্তিক মাসে আখের আগা নিয়ে কাদামাটিতে রোপণ করি। রোপনের ৩ মাস পর টপসয়েল (কান্দি) বাঁধি। এর মাঝে পোঁকা মাকড় আক্রমণ করলে কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে সমাধান করি। রোপণের ৬ মাস পরে এটি বিক্রির উপযুক্ত সময় হয়। এপর্যন্ত আমার ২৫-৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ৮-১০ হাজার টাকা বিক্রি করে পেলছি। আরও ৬০-৭০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো। আমার দেখাদেখি স্থানীয় ৮-১০ জন কৃষক পরামর্শ নিয়ে চাষাবাদ করায় এখন তারাও স্বাবলম্বী। কৃষি অফিস থেকে আরও সহযোগীতা পেলে ব্যাপক আকারে চাষাবাদ করার আগ্রহ প্রকাশ করছি।

কৃষক রেকু আহম্মদ জানান, কৃষক সিরাজ থেকে পরামর্শ নিয়ে ৮ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করি। এতে সবমিলে ব্যয় হয় ১২-১৫ হাজার টাকা, বিক্রি করেছি ৪০ হাজার টাকা। তবে অন্য ফসলের তুলনায় আখ চাষে দ্বিগুণ লাভ। এভারেজ প্রতিটি আখ ৪০-৫০ টাকা বিক্রি করি। এবং ১’শত আখ ৪-৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়। তবে এছাড়া গাছের গোড়া কচি পাতা গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শুকনো পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. শামছুদ্দিন জানান, আখ চাষে লাভজনক হওয়ায় কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় চলতি বছরে তেমন রোগ-বালাই দেখা দেয়নি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার হারুন অর রশিদ বলেন, সুবর্ণচরে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়। এর মধ্যে কৃষক সিরাজ অন্যতম একজন। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদেরকে আড়াই হাজার টাকার একটি চেক ও সার, বীজ, কীটনাশক প্রদান করা হয়। এবং আখে

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD