ইব্রাহিম খলিল শিমুল, নোয়াখালী।
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। আগাম টমেটো চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার ০৩নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের মধ্য কেরামতপুর গ্রাম ও অন্যান্য ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, আগাম টমেটো চাষাবাদ করে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে রাত-দিন সমানতালে ক্ষেতের পরিচর্যায় সময় পার করছেন কৃষক। খোলা আকাশের নিচে মুক্তাঙ্গনে রৌদ্র পরিবেশে উঁচু জমিতে এই টমেটোর চাষ। বৃষ্টির প্রভাব থাকলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে সযত্নে পলিথিন ও বাঁশের সাহায্যে ছাউনি দিয়ে চাষাবাদ করেন তারা।
এবং বাজারজাত করে ভালো দাম পাওয়ার লক্ষ্যে আগাম চাষ করেছে চাষীরা। বর্তমান খুচরা বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় চারা রোপণের পর থেকে চাষিরা টমেটো আবাদে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে। আশানুরূপ মূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি লক্ষণীয়।
কৃষক মো: দিদারুল ইসলাম জানান, এবার চলতি মৌসুমে বিভিন্ন সবজি চাষাবাদের পাশাপাশি ৫ শতক জমিতে গ্রীষ্মমকালীন বারি টমেটো-৮ চাষাবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম টমেটো বাজারে তুলে বেশ দাম পেয়েছি। গাছে এখনো প্রচুর ফলন রয়েছে। শীতকালীন টমেটো বাজারে আসার আগ পর্যন্ত ভালো দর পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: হারুন অর রশিদ জানান, ২০২০-২১ অর্থ বছরে উপজেলার বারি টমেটো-৮ জাতের ২৫ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদ করে কৃষকরা।
কৃষিকাজে এখানকার চাষিরা বেশ তৎপর। বিশেষ করে সবজি চাষে চাষিরা বেশ সাফল্য এনেছে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক’সহ নানা কৃষি উপকরণ ও প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি টমেটো চাষের জন্য সব ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এবং অন্যান্য চাষীদেরকে আগাম টমেটো ও বিভিন্ন সবজি চাষ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়।
Leave a Reply