নিউজ ডেস্কঃ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব গেছে, তার দায় বাংলাদেশ নিবে। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব আমাদের বন্ধু দেশ। তবে তাদেরও অনেক সমস্যা আছে। তাদের কর্মসংস্থান কমেছে। ১৯৮০ সালে বা বিভিন্ন সময়ে সৌদি সরকার অনেক রোহিঙ্গা নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার রোহিঙ্গা সৌদি আরবে আছে। এদের মধ্যে যারা (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে গেছে তার দায় বাংলাদেশ নিবে। অন্য দেশ থেকে গেলে দায় বাংলাদেশের না।
সম্প্রতি সৌদি আরবের অভিযোগ করেছে ৪৬২ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে জেলে আছে। তাদের ফেরত আনতে বলেছে সৌদি আরব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন তারা বলছে ৫৪ হাজার রোহিঙ্গা সেখানে আছে। তারা বলছে, এদের কোনও পাসপোর্ট নেই এবং কোনও কাগজ নেই। তারা আরও বলছে, এদের তোমরা পাসপোর্ট ইস্যু করো। আমরা বলেছি, যারা আগে পাসপোর্ট পেয়েছে এবং তাদের পাসপোর্টের কাগজ যদি থাকে তবে আমরা নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করবো। কিন্তু এরা যদি আমাদের লোক না হয়, তবে আমরা নেবো না।
রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট না দিলে অন্য বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হবে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুনিয়র লেভেলে কেউ কেউ বলছে তোমরা যদি এদের না নাও বা পাসপোর্ট ইস্যু না করো তবে তোমাদের দেশ থেকে এত লোক আনছি, এটা আমরা বন্ধ করে দেবো এবং তোমাদের যে ২২ লাখ লোক আছে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক অবস্থান নেবো। এই কথাগুলি জুনিয়র লেভেল থেকে আমাদের বলা হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় এটি টিকবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এ নিয়ে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবের কিছুটা তাগাদা আছে। তারা বলছে, নাগরিকত্বহীন কোনও ব্যক্তি তারা রাখবে না। তারা বলছে তোমরা এটি তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করো। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রায়ই তারা এ প্রশ্নটা তোলে।
Leave a Reply