আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:জামালপুর প্রতিনিধি।।
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের নিজ কক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
১৬ আগষ্ট ২০২০ রোববার সন্ধ্যায় কক্ষের দরজা ভেঙে মেলান্দহ থানা পুলিশ লাশটি বিছানার ওপর পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে । মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষিণকভাবে কোনো ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ।
জামালপুর জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মৃত চিকিৎসকের নাম সুলতানা পারভীন (৩৭)। তিনি মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সুলতানা পারভীন অবিবাহিত ছিলেন। তাঁর বাড়ি রাজশাহী বিভাগে। তবে ছুটিতে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি আবাসিক এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের ওই কক্ষে তিনি একাই থাকতেন।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ১৫ আগষ্ট শনিবার রাত নয়টা থেকে রোববার বিকাল পর্যন্ত সুলতানা পারভীনকে কেউ দেখেননি। সকাল থেকে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও যাননি। বিকেলের দিকে সবার সন্দেহ হওয়ায় । পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হকসহ কয়েকজন চিকিৎসক ওই কোয়ার্টারে যান। তাঁরা কক্ষের দরজায় অনেক ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙে ওই চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করে।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সুলতানা পারভীন কোয়ার্টারের ওই কক্ষে একাই থাকতেন। গতকাল তাঁর সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। তবে তিনি জামালপুর শহরের বেসরকারি হজরত শাহজামাল (রহ.) জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখেছেন। রাত নয়টার দিকে ওই হাসপাতালের গাড়িতে করে তাঁকে কোয়ার্টারে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তাঁকে আর কেউ দেখেননি।
মি.ফজলুল হক আরও বলেন, তাঁর লাশ বিছানার ওপর পড়ে ছিল। মুখমণ্ডল অনেক কালো ছিল।
মেলান্দহ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে ওই চিকিৎসকের লাশ বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় পায়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply