বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ঐতিহ্যবাহী আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের ৮৬ তম ইছালে ছাওয়াব মাহফিল আজ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে কসবায় কৃষক সভা অনুষ্ঠিত রাজধানীতে ঐশী বাংলা জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন-২০২৫ সম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ভূইয়ার জানাযা ও দাফন সম্পন্ন কসবা ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নতুন ভর্তির মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আল্লামা মরহুম গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের
বিয়ের দাওয়াতে এসে ১৫ বছর পর মায়ের সন্ধান

বিয়ের দাওয়াতে এসে ১৫ বছর পর মায়ের সন্ধান

নিউজ ডেস্ক :
বিয়ে বাড়িতে চলছে আনন্দ উৎসব। চলছে শিশুদের দৌঁড়ঝাপ, কোলাহল। আত্মীয়তার সুবাদে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার জিরোধারাবাজি এলাকার ঘরখোল গ্রামের আল আমিন। তবে তার এই অনন্দের মাঝেও অনুসন্ধানী চোখ দুটো কি যেন খুঁজছিল। খুঁজতে খুঁজতে যান পার্শ্ববর্তী বাজারে।

সেখানে গিয়ে লোকমুখে শুনতে পান বাজারে থাকেন এক ‘পরহেজগার পাগলী’। সারাদিন ইবাদত করেন। পথচারীরা দয়া করে যা দেন তাই খেয়ে চলেন। আল আমিনের ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মাও পরহেজগার ছিলেন। তাই কৌতুহল নিয়ে যান দেখা করতে। দূর থেকে দেখে এগিয়ে যান দ্রুত। সামনে এসে কেউ কারো পরিচয় দিতে হয়নি। মায়ের চোখ চিনে নিয়েছে ১৫ বছর আগের সন্তানকে। সন্তানও চিনে ফেলেছে মাকে। স্নেহমাখা হাতে সন্তানকে বুকে জড়িয়ে নাম ধরেই ডাকলেন বাজারে থাকা ‘পরহেজগার পাগলি’ মা। ১৫ বছর পর হারিয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেয়ে আল আমিন হাউ মাউ করে কেঁদে উঠেন।

শুক্রবার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা বাজারে এমন ঘটনা ঘটে। মা সন্তানের এমন মিলন দেখে নিজেদের অজান্তেই চোখ মোছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আল আমিন জানান, তারা চার ভাই ও দুই বোন। তাদের মা গত ১৫ বছর আগে ব্রেনের সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সব কিছু মনে রাখতে পারেন না। ঝড় বৃষ্টির এক রাতে তাদের মা আবেদা বেগম (৬৯) বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এলাকায় মাইকিং, থানায় জিডি, পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ বহু স্থানে মাকে খোঁজা হয়। মাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বাস ছিলো মা মরেনি। তাই কোথাও গেলে সব কাজের ফাঁকে মাকে একটু খুঁজে দেখাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার দুপুরে সে তার প্রতিবেশীর সাথে এক আত্মীয়ের বিয়েতে গাবুবায় আসেন। সেখানে জানাতে পারে গত দুই বছর ধরে বাজারে এক নামাজি পাগলী থাকে। তার ঠিকানা কেউ জানে না। বিষয়টি শুনেই বিকেলে বিয়ে বাড়ির কোলাহল ছেড়ে তিনি বাজারে যান। বাজারে খোঁজাখুজির পর গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি দোকান ঘরের চালের নিচে বসে থাকা অবস্থায় ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মাকে সনাক্ত করেন।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, পথ ভুলে এলাকায় আসা পাগলীকে তার সন্তানেরা খুঁজে পেয়েছে। সন্তানদের কাছে পেয়ে মাও যেমন খুশি তেমনি গাবুরাবাসীও খুশি। প্রিয় সন্তানের সাথে মাকে তার নিজ ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD