শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু কসবায় কালবেলা সাংবাদিকের ওপর হামলা, মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুরের অভিযোগ কসবায় বাস ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২ সৌদি আরবের সড়ক দুর্ঘটনায় কসবার ইসহাক নিহত কসবায় ঈদ পুনর্মিলন নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে কসবায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ঢাকায় আহত ২জন পেলেন সরকারী আর্থিক অনুদান হাসিনার মত এত বড় দুর্ধর্ষ এত জুলুমকারী হতে পারবে না – হাসনাত আবদুল্লাহ দেশ বরেণ্য আলেম আল্লামা মুফতি অধ্যক্ষ মো. আবদুল মতিন (র) এর ইন্তেকাল স্বদেশ কাঁপানো প্রমত্ত হুংকারে কসবায় বিজিবি’র খাদলা বিওপির অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলাগাছের গোড়ায় পাওয়া শিশুটির মা শিক্ষিকা পারভীন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলাগাছের গোড়ায় পাওয়া শিশুটির মা শিক্ষিকা পারভীন

লোকমান হোসেন পলা।।
পরম মমতায় শিশুটিকে বুকে আগলে রেখেছেন এক নারী। এরই মধ্যে শিশুটির মৃদু কান্না শুনে হাত কয়েক দূরে থাকা এক নারী নিজের অনুভূতিরও জানান দিচ্ছিলেন, ‘না না, কাঁদে না।’ শিশুটিকে ফিডারে করে দুধ খাওয়ালেন আগলে রাখা পারভীন আক্তার। গত চার দিন তিনি শিশুটিকে দেখভাল করছিলেন।

মিনিট কয়েক পর একটু যেন মনমরা পারভীন। আর শিশুর কান্নায় কষ্টের অনুভূতি ব্যক্ত করা সেই মায়ের মুখে রাজ্যের হাসি। পালক নেওয়া মেয়েসন্তানের পর এবার ‘কুড়িয়ে’ পাওয়া ছেলেসন্তান পেয়েছেন। নতুন শিক্ষক ‘মা’ জানালেন, স্বভাবের সঙ্গে মিল রেখে এ সন্তানের নাম রাখা হবে শান্ত। পুরো নাম মো. জায়ান রশিদ শান্ত। বাড়িতে নাবিলা রশিদ নামে বোন পাবে শান্ত। শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া দম্পতি প্রায় ১৮ বছর আগে বিয়ে করলেও এখনো নিঃসন্তান রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে আদালতের নির্দেশে নতুন বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. শওকত হোসেন শিশুটিকে নতুন বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন। পরে সদর থানায় প্রক্রিয়া শেষে শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।

২৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কলাগাছের গোড়ায় পাওয়া যায় প্রায় ছয় মাস বয়সী শিশুটিকে। সেদিন সন্ধ্যায় সেখানকার পারভীন আক্তার নামে এক নারী বাড়ি থেকে কান্না শুনে শিশুটিকে নিয়ে যান। এরপর সবার পরামর্শে ৩০ নভেম্বর শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নার্সদের সঙ্গে পারভীন আক্তার নামে নারীও দেখাশোনা করতেন।

শিশুটিকে নেওয়ার জন্য অনেকেই থানায় ও হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। এরই মধ্যে পৃথক দুই সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক দম্পতি নিয়ম অনুসারে পাঁচ লাখ টাকার বন্ডে শিশুটিকে নেওয়ার আবেদন করেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ পারভেজ বৃহস্পতিবার এক আদেশে শিশুটিকে আবেদনকারী নিঃসন্তান দম্পতিকে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। আদেশে কিছু শর্ত দেওয়া হয়। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, শিশুটিকে নিজ সন্তানের মর্যাদায় লালন-পালন ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। নিজের ঔরসজাত সন্তান জন্ম নিলেও নিজ সন্তানের মতো সব সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কোনো সময় শিশুটির বৈধ পিতা-মাতাকে পাওয়া গেলে ফেরত দিয়ে দিতে হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD