লিয়াকত মাসুদ কসবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা লক্ষ্মীপুর গ্রামের মরহুম পীরে কামেল বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ফকির সাহেবের১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়।উক্ত মৃত্যু বাষিকী অনুষ্ঠানে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও ধর্মীয় সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আশেকান, জাকেরান, ভক্ত, তরিকাপন্থী এবং খ্যাতি সম্পন্ন বাউল শিল্পী ছাড়াও আগমন ঘটে হাজারো দর্শক শ্রোতার। আবুলকাশেম ফকিরের দীর্ঘ সাধনার পর আধ্যাত্মিক শক্তি ও খোদার নৈকট্য লাভের উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এখানে তিনি ৭ ফাল্গুন দেহ ত্যাগ করার পর থেকে প্রতিবছর ওরস শরীফ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মাজার শরীফে পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে বিগত বছরের তুলনায় এবার বেশ জাকজমকপূর্ণ করা হয়েছে নেতৃবৃন্দ। তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনার পর পালা গানে অংশগ্রহণ করেন ৯ অগ্রয়ণ বীর মুক্তির যোদ্ধা আবুল কাসেম দরবার শরীফে সন্ধ্যার পর মিলাদ মাহফিল ও জিকিরের পর উক্ত দুই বয়াতি ধর্ম সম্পর্কীয় পালাগান পরিবেশন করেন
অপরদিকে জৈনপুরী অন্যতম শিস্য আবুল কাসেম দরবার শরীফে ৯ অগ্রয়ন সন্ধ্যার পর থেকে মিলাদ মাহফিল ও জিকিরের পর ধর্মীয় সংগীতের আয়োজন করেছেন। এখানেও থাকবেন দুই সুনামধন্য বাউল সম্রাট, শান্তা রানী সরকার ও দক্ষিণাঞ্চলের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী কামরুল সরকার। সমগ্র অনুষ্ঠানে দেহতত্ত্ব, ভেদতত্ত্ব, শরীয়ত, মারফত, বিচ্ছেদ এবং মুর্শিদী সঙ্গীত পরিবেশন হয়ে থাকে। মাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক মিয়ার সভাপতিত্বে মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির বিশিষ্ট আইনজীবী জনাব জহিরুল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুর রহমান বর্তমান ইউপি সদস্য গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ,এবং আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা থেকে আগত পীর সাহেবের বক্তা মোঃ জালাল সাহেব, হাজী মোহাম্মদ লোকমান পন্ডিত, সাংবাদিক মোহাম্মদ জামশেদ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক সহযোগিতা এবং পরিচালনা করেন পীর সাহেবের সুযোগ্য সন্তান মুসলিম উদ্দিন ফকির সাহেব। ঢাকা থেকে আগত ভক্তদের মধ্য থেকে হাজারো ভক্ত মনের আশা লক্ষ্মীপুরে মাজার শরীফ আরো উন্নতি হবে।
Leave a Reply