শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

আজ সূর্যসেনের ৮৭তম ফাঁসী দিবস

আজ সূর্যসেনের ৮৭তম ফাঁসী দিবস

ছবি: সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ
১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর যুদ্ধ- বাংলার নবাবের করুন মৃত্যু, ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়। এরপর প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন-শোষণে শৃঙ্খলিত বাংলা তথা সারা ভারত।

শুরুতে কিছুটা মাথা পেতে নিলেও, ধীরে ধীরে ব্রিটিশদের বিপক্ষে প্রতিবাদ শুরু করে ভারতবাসী।ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের মাস্টার দা সূর্যসেন অন্যতম।

সূর্যসেন কুমার ছিলেন শিক্ষক। ডাক নাম কালু হলেও, তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন মাস্টার দা নামে।

১৯১৯ সালে পাঞ্জাবে ইংরেজদের এক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সভায় মাস্টার দা সূর্যসেনের বক্তৃতায় ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব তীব্র হয় চট্টলাবাসীর।

১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা যোগ দেন সশস্ত্র বিদ্রোহে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত দশটায় হামলা করে দুইটি অস্ত্রাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন।

বিপ্লবীরা টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে সূর্যসেনের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার ঘোষণা করে।

এরপর ২২শে এপ্রিল সংঘটিত এক যুদ্ধে ১৪ বিপ্লবী শহীদ হন।

সূর্যসেনকে ধরতে ইংরেজ সরকার পুরস্কার ঘোষণা করে। ১৯৩৩ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন এই বিপ্লবী।

ওইবছরই সূর্যসেন, তারকেশ্বর দস্তিদার এবং কল্পনা দত্তের বিশেষ আদালতে বিচার হয় এবং ফাঁসির রায় হয়।

১৯৩৪ সালের ১২ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি কার্যকর হয়। আর কল্পনা দত্ত কারাগারেই আত্মহত্যা করেন।ফাঁসি কার্যকর হয়।

ফাঁসি কার্যকরের পর তাদের মরদেহ বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয় ব্রিটিশ শাসকেরা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD