মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

একজন সফল তরুন উদ্দ্যোক্তার গল্প

একজন সফল তরুন উদ্দ্যোক্তার গল্প

মোঃ জসিম উদ্দিন
খানসামা প্রতিনিধি

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ২৩ বছর বয়সেই সফল হয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা এম আর সাফি। তিনি মা সাহেরা এগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান। তিনি চাকরির পেছনে না ছুটে এখন অন্যকেই চাকরি দিচ্ছেন।

একজন সত্যিকার সফল উদ্যোক্তা তাঁর ব্যবসার উন্নয়নের পাশাপাশি নিজেকেও সব সময়ে উন্নত করার চেষ্টা করেন। সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় হিসেবে এর কোনও বিকল্প নেই।
সফল উদ্যোক্তা হতে পারা অবশ্যই দারুন, কিন্তু সেই পথে চ্যালেঞ্জও কম নয়।আর এই চ্যালেঞ্জ জয় করতে সব সময়ে নিজেকে উন্নত করার বিকল্প নেই । বেশিরভাগ সফল উদ্যোক্তা খুবই উ‌ৎসাহী ও আশাবাদী ধরনের মানুষ। সেই সাথে তাঁরা জানেন যে, ব্যবসার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নিজের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নতি করা কতটা দরকার।

পৃথিবীর সেরা উদ্যোক্তাদের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাঁরা সব সময়েই নিজেদের আপগ্রেড করার জন্য নতুন নতুন জ্ঞান ও দক্ষতা শেখার চেষ্টা করেন। প্রতিযোগীতায় টিঁকে থাকতে এবং ব্যবসাকে এগিয়ে নেয়ার এটাই সেরা উপায়। শুধু ব্যবসার পেছনে বিনিয়োগ করার বদলে যিনি ব্যবসাটি চালাচ্ছেন, তাঁর পেছনেও বিনিয়োগের দরকার আছে। উদ্যোক্তা নিজে যত উন্নত হবেন, তাঁর ব্যবসাও তত উন্নত হবে।

ঠিক এমনই একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার কথা বলছি। যিনি তার অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম ও মেধার সমন্বয়ে একটি ক্ষুদ্র স্টার্টআপ পরিচালনা করছেন। মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করছেন পাশাপাশি নিজের ব্যবসায় কে নিয়ে যাচ্ছেন সফলতার দিকে।

“মা সাহেরা এগ্রো লিমিটেড ” এর চেয়ারম্যান , “ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন” থেকে এল এলবি শেষ করা ছাত্র এম এম আর সাফি আল ওয়াসি এর কথা বলছিলাম।

বিশ্বের সফল উদ্দ্যোক্তাকে দেখে অনুপ্রাণিত এই উদ্যোক্তা অনেক আগে থেকেই স্বপ্ন দেখে আসছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হবার। সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু। শুরুটা তার তেমন ফলপ্রসু ছিলো না। বহুবার বহু যাত্রায় ব্যর্থ হয়ে বর্তমানে তার নতুন প্রতিষ্ঠানটিকে প্রচন্ড পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতার দিকে নিয়ে এসেছেন।
কথা হচ্ছিলো তার সাথে। তিনি বলেনঃ” বাংলাদেশের মতো একটি দেশে ব্যবসায় পরিচালনা করা যেমন সহজ তেমন প্রতিবন্ধকতাও অনেক। তবে দমে গেলেই হবে না। আমি নিজে বহুবার ব্যর্থ হয়েছি। গার্মেন্টস ব্যবসায়,কখনো পরিবহণ ব্যবসায়,কখনো সেবাধর্মী ব্যবসায়ে। এতে করে কি হয়েছে, আমি ভেঙ্গে পরিনি। মনোবল হারাইনি। বরং অদম্য শক্তি আর সাহস নিয়ে এগিয়েছি। নতুন নতুন চিন্তা করেছি। বিভিন্ন রকম মানুষের সাথে মিশেছি। জেনেছি কি করে কি করা যায়।

আর এসব বিষয়ে অামাকে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করেছে “এইচ এমপি রিনেবল রিসোর্স কোম্পানি লিমিটেড” এর চেয়ারম্যান প্রিয় ভাই হাবিবুর রহমান (জুয়েল) ভাই।
আমি স্বপ্ন দেখি মহাকাশ চুম্বী, যেনো অন্তত পক্ষে আকাশ পর্যন্ত হলেও পৌছুতে পারি।
আমি বর্তমানে এই যে “হযরত মা সাহেরা এগ্রো”, “টাইলস এন্ড মারবেল” এবং “এক্সপোর্ট ইমপোর্ট” সহ মোট ৬টি ব্যবসা পরিচালনা করছি এটা আমার জন্যে একটা পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় সফলতা, ব্যর্থতা সবই আছে। আমি এরকম আরো পরীক্ষার সম্মুখীন হতে চাই। ”

সাফি তার প্রতিষ্ঠানকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান। বর্তমানে তার সাথে কাজ করছেন আরো ১৫ জন। সফলতাকে বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। তবে যার যার ক্ষেত্র থেকে সফলতাটা ভিন্ন। এই ভিন্ন মাত্রার সফলতার স্বাদ আস্বাদন করতেই নিরলস পরিশ্রম করে এগিয়ে যাচ্ছেন সাফি এর মতো হাজারো উদ্যোক্তা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD