বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
কসবায় ৫০ বছর পূর্বের জায়গা কিনে দলিল না পাওয়ায় বিক্রেতার মামলায় উচ্ছেদ এর শিকার আকাশের নিচে বসবাস

কসবায় ৫০ বছর পূর্বের জায়গা কিনে দলিল না পাওয়ায় বিক্রেতার মামলায় উচ্ছেদ এর শিকার আকাশের নিচে বসবাস

লিয়াকত মাসুদ কসবা প্রতিনিধি
কসবা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরবর্তী কুটি ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামে ৫টি হতদরিদ্র পরিবারকে প্রশাসন উচ্ছেদ করেছে। ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদের ফলে গত দু’দিন যাবত প্রায় ৩১ জন সদস্য খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। পরিবারগুলোর আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘটনা¯ স্থলে গিয়ে জানা যায়, ¯স্থানীয় তবদিল হোসেন নামক এক ব্যক্তি পাশ্ববর্তী মৃত মঞ্জুর আলীর পুত্র মালু মিয়া (৯০) এর নিকট ১২ শতক ভুমি বিক্রি করে প্রায় ৫০ বছর আগে। তারপর থেকে মালু মিয়া পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে বসতিস্থাপন করে। তৎকালীন সময়ে ৪শত টাকা পরিশোধ না করায় তবদিল হোসেন ক্রেতা মালু মিয়াকে দলিল না দিয়ে তার পুত্র সওদাগরকে মৃত্যুর পূর্বে দলিল করে দেয়। সহজ সরল মালু মিয়া দলিল না পেয়েও সেখানে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঘরবাড়ী তৈরি করে বসবাস করতে থাকে। গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ এ বিষয়টি নিয়ে সমাধানের জন্য তবদিল হোসেনের পুত্র সওদারকে অনুরোধ করলেও সে তাদের অনুরোধ অগ্রাহ্য করে। এ বিষয়ে সালিশও হয়। গ্রামের প্রবীন ব্যক্তি হাজী মো.আবদুর রাজ্জাক (৮০) ও পাশ্ববর্তী শরৎনগর গ্রামের হাজী আবদুল বারেক ভ’ইয়া (৯৫) বলেন, জায়গা বিক্রি করার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। বিক্রিত জায়গার মুল্য ৬ হাজার ৭শত টাকার মধ্যে ৪শত টাকা না দেয়ার তবদিল হোসেন মালুকে জমি দলিল করে দেয়নি। মালু মিয়াকে এই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে ২০০০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেওয়ানী আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করে মৃত তবদিল হোসেনের পুত্র সওদাগর মিয়া। সেই মামলায় বিজ্ঞ আদালত এই ভিটি থেকে মালু মিয়ার পরিবারকে উচ্ছেদের নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গত মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবা খান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় ৭ গ্রামের লোকজন ভূমিদস্যু সওদাগরের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) হাসিবা খান বলেন বিষয়টি দুঃখজনক হলেও বিজ্ঞ আদালতের আদেশ তাকে তামিল করতে হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আইয়ুব আলী ভূঁইয়া বলেন এ বিষয়ে হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদের নিযুক্ত আইনজীবি এডভোকেট বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সওদাগর তা গোপন রেখেছে এ বিষয়ে প্রত্যায়ন পত্র দেওয়া হবে

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD