বিশেষ প্রতিনিধি।।
কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করতে আশির দশকে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। ভবন ভগ্নদশার কারণে মাঝখানে এক যুগ বন্ধ ছিল এর কার্যক্রম। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে চলতি বছরের শুরুতে স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএম কনস্ট্রাকশন। প্রথম দিকে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করার পর কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকে।
বিনাউটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় স্থানীয়রা বাধা দেন। এরপরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ না করায় বাধ্য হয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সংশ্নিষ্টদের।
স্থানীয়দের অভিয়োগ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ফলে যে কোনো সময় ভবন ধসে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা করে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মান পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ সময়ই রাতের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে কাজ করত। আমরা বাধা দিলেও কোনো কথা শুনত না। একপর্যায়ে আমরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের কাজ বন্ধ করে দেই। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়।
বিনাউটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কোনো কাজই করেননি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এ ছাড়া শুরু থেকেই তারা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বাধা দেওয়া হয়। তবে তারা বাধা উপেক্ষা করে কাজ করছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার মো. পারভেজ ও ম্যানেজার আতাউর রহমান জানান, কাজ নিম্নমানের হয়ে থাকলে নতুন করে শুরু করা হবে।
Leave a Reply