বাকের সরকার বাকর।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরধরে দুই দলের দলাদলিতে বড় ভাই ফয়েজ মিয়া (৫৫) খুনের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার বাদী হয়ে গত শনিবার হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় জাকির হোসেন ও সাক্কু মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা করা হয়েছে।
এদিকে বাড়ি-ঘর ভাংচুর লুটপাট না করতে পারে এ কারনে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ দিকে নিহত ফয়েজ মিয়ার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গত শনিবার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় জানাগেছে, নিমবাড়ি গ্রামের জমশেদ মিয়া ও সুদন মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল।
২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সুদন মিয়ার দলের একই গ্রামের ফয়েজ মিয়ার ছোট ভাই রহিজ মিয়া প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। ওই হত্যা মামলায় স্বাক্ষী ছিলেন নিহতের বড় ভাই ফয়েজ মিয়া (৫৫)। ওই মামলায় বিচারিক আদালতে আগামী ৯ এপ্রিল স্বাক্ষী দেয়ার কথা ছিল ফায়েজ মিয়ার।
বর্তমানে জমসিদ মিয়া দলাদলি থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। ওই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সাক্কু মিয়া। সুদন মিয়ার পক্ষর রয়েছে মোস্তফা ও রতন মিয়া। ওই রিরোধের জেরধরে গতকাল শনিবার সকালে ফায়েজ মিয়া গ্রামের বাজারে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন ফয়েজ মিয়াকে টেটা দিয়ে পায়ে ও বুকে আঘাত করলে ফায়েজ মিয়াসহ ৩ জন আহত হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে চলে সংঘর্ষ। এতে দুইপক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। সংঘর্ষে ফয়েজ মিয়া হয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে জাকির হোসেন ও সাক্কু মিয়াকে প্রধান আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার রাতেই নিহত ফয়েজ মিয়ার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দিকে পুনরায় সংষর্ঘ না করতে পারে এবং বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুট-পাট করতে না পারে এ কারনে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া ,উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই লাশ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৩০জনের নামে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পুনরায় সংষর্ঘ না করতে পারে এবং বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুট-পাট করতে না পারে এ কারনে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
Leave a Reply