মোঃ আঃ বাকের সরকার বাবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর শহরের তারাপুর এলাকায় আজ মঙ্গলবার সকালে ভয়াবহ
অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। একটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে নগদ
টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ কমপক্ষে ৫০ লক্ষাধিক টাকার পরিমান ক্ষতি
হয়েছে। আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন গৃহকর্তী ছালেহা বেগম। বৈদ্যতিক শর্ক
সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
উপজেলা প্রশাসন, দমকল বাহিনী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা পৌর শহরের
তারাপুর এলাকার আবদুল মালেক মিয়া তমা কনষ্ট্রাকশনের কসবা কার্যালয়ে নৈশ প্রহরীর
চাকুরী করেন। রাতের ডিউটি শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে তার বসত ঘরে ঘুমিয়ে
ছিলেন। হঠাৎ তার স্ত্রী ছালেহা বেগম ঘরের চালে আগুন দেখতে পায়। এ সময় ঘরে
গিয়ে চিৎকার করতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত স্বামী আবদুল মালেককে টেনে ঘর
থেকে বের করে আনেন। এ সময় বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে ছালেহা
বেগমের হাত পুড়ে যায়।
মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কসবার কুটি চৌমুহনী ফায়ার
সার্ভিসের একটি দল স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় আগুন নিভাতে পারলেও পুরো
ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, আগুনে পুড়ে যায় ক্ষতিগ্রস্থ আবদুল
মালেক খোলা আকাশের নিচে অন্য একটি বাড়ির উঠানে শুয়ে আছেন। তিনি শুধু
কাঁধতে থাকেন। আর বলতে থাকেন। তার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।
গৃহকর্তী ছালেহা বেগম বলেন, আগুনে পুড়ে যায় নগদ তিন লক্ষ টাকা, সাড়ে তিন
ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি ফ্রিজ, কাঠের তৈরী বেশ কয়েটি আসবাবপত্র। তিনি বলেন,
মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। স্বামীর বাড়িতে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েটি আসবাপত্র
তৈরী করেছিলেন। এগুলি সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, তার হাতও পুড়ে
গেছে।
খবর পেয়ে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, কসবা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম, কসবা পৌরসভার মেয়র
মো. এমরান উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা
ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. আফজাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, বৈদ্যুতিক
শর্ক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পুরোঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে
গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ টাকা ও ঢেউটিন দেওয়া হবে। তাৎক্ষনিক
ভাবে তাকে শীতের কম্বল এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের পক্ষ থেকে চাল দেওয়া
হয়েছে।
Leave a Reply