নাফিসা খান
আজও তুমি জড়িয়ে আছো স্মৃতির আনাচে-কানাচে,
আমার বারান্দা থেকে বেডরুম, এখনও তোমার মৃদু গন্ধ ঘূরে বেড়ায়।
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে মনে হয় এই বুঝি তুমি বিরক্ত হয়ে বলবে, “জুতোটা বাইরে খুলতে পারো না? পুরো বারান্দাটা নোংরা করলে তো?”
আঁধার হলে সাঁঝ আকাশের আয়নায় ভেসে ওঠে, “রবি আমার রাতের আকাশ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে”!
সময় পেলেই আমার দক্ষিণ ব্যালকনি তোমার স্মৃতির সুরে সুর মেলায় রবি ঠাকুরের, “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাঁকে……” গানটিতে,গানটা তোমার খুব পছন্দের ছিল,
আমিও মাঝে মাঝে উত্তম কুমারের মতো তোমার সঙ্গ দিতাম।
অজানাই থেকে গেল, কেনো চলে গেলে মিরা?
আগুন্তুকের কালো ছায়ার স্পর্শে বিদায় নিলে?
নাকি আমার এই আধখানা কুঠির তোমার স্বাধ পূরণে ব্যর্থ ছিল?
কোথায় ব্যধধান ছিল, কাঁটাতারের বেড়া ফ্যালফ্যাল
চাওনিতে উত্তরের প্রত্যাশায় দিন কাটে!
ফাইনাল হেয়ারিংয়ের দিন অনেকবার মনে হয়েছে, একবার শেষ অনুরোধ তো করা যাক, অন্তিমবার তোমার হাত ধরে বলতে চেয়েছি,”মিরা বাড়ি চলো”।
দু’এক পা বাড়াতেই, লক্ষ্য করলাম তোমার চারপাশটা অনেক বদলে গিয়েছে,
নিজেকে খোঁজার ব্যাগ্রতায় পেলাম উপেক্ষা আর অবহেলা!
এখনও মনের সিন্দুকে রাখা স্মৃতিগুলো, মাঝে মাঝে ছেলেমানুষি করে, ছুটে যেতে চায় তোমার কাছে!
কিন্তু, কলমের কালি যে আমার অধিকারের দলিল হাইজ্যাক করেছে,
এ কথা মাথায় রেখে, ঝাপটায় খুলে যাওয়া খিড়কি বরাংবার বন্ধ করার জন্য হাজিরা দেয় এই ফরিয়াদি ।
Leave a Reply