মোঃ মহসিন মিয়া
শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি
শরীয়তপুর জেলায়,গোসাইরহাট উপজেলায়, গোসাইরহাট নির্বাহী অফিসেরর কার্যালয়ের মাঠে কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন মেলা উদ্বোধনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষিই সমৃদ্ধি, মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার নিরাপদ সবজির উপহার , কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন মেলা ২০২০ইং উদ্বোধনী ও আলোচনা সভা আনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় ( ০৯-১১-২০২০ইং) উক্ত অনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন গোসাইরহাট উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ কল্যান কুমার।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান, আরো উপস্থিত ছিলেন গোসাইরহাট উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল করিম,গোসাইরহাট উপজেলার আওয়মীলীগের সভাপতি মোঃ শাজাহান শিকদার , গোসাইরহাট উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ আবুল খায়ের,গোসাইরহাট উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান মোসাঃ নাজমা আক্তার সহ গোসাইরহাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কৃষক শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রথমেই কোরআন তেলওয়াত করেন গোসাইরহাট উপজেলা মসজিদের ইমাম মোঃ বিল্লাল হোসেন ও গীতা পাঠ করেন গোসাইরহাট উপজেলার কর্মকর্তা প্রভা রানী।
কৃষি প্রযুক্তি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমেই আলোচনা করেন গোসাইরহাট উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ কল্যান কুমার, বলেন কৃষিই সমৃদ্ধি মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার নিরাপদ সবজির উপহার। বর্তমানে বিশ্বের সকল দেশে করোনা নামক ভাইরাসের সংক্রমণে খাদ্য সংগ্রহ ও উৎপাদন করতে পারেনাই। কিন্তু বাংলাদেশ এক মাত্র টিকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ইনইউসটিড প্রযুক্তির কারনে। যেখানে ১৯৭৪ সালে ৭ কোটি মানুষের খাবার তুলে দিতে পারেনাই ঠিক মতো সেই জায়গায় আজ ১৮ কোটি মানুষের খাবার তুলে দিচ্ছে। আরো বলেন সকল কৃষকদের প্রতি আহবান করেন কৃষিকাজ বেশি বেশি করতে যাতে করে আমরা কৃষি দেশ নির্ভর হয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
গোসাইরহাট উপজেলার আওয়মীলীগের সভাপতি মোঃ শাজাহান শিকদার, বলেন আমরা কৃষি কাজ করতে পারি বলেই আজ দেশে কোনো খাবারের ঘাটতি নেই। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্বের সকল দেশের সাথে আমদানি ও রপ্তানি করতে পারেনা। যেই সকল দেশ আমদানির উপর নির্ভশীল তাদের টাকা থাকলে ও তারা খাবার পাচ্ছেনা কিন্তু আমার কৃষি কাজ করে ফসল উৎপাদন করতে পারি আজ আমাদের দেশে কোনো খাবারের ঘাটতি নেই।
প্রধান অতিথি শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান, বলেন টাক পয়সা থাকলেই সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া যায়না। বাব মা কষ্ট করে যেমন ছেলে সন্তানদের লালনপালন করে। ঠিক তেমন ভাবে একজন কৃষক একটি গাছ রোপন করে গাছটিকে বড় করে তোলতে ঠিক ঐ সন্তানের মতো কষ্ট হয়। আরো উদাহারন দিয়ে বলেন যে এক কৃষক টমেটো চাষ করেছিল কিন্তু একটি ছেলে কিছু সংখ্যাক টমেটোর গাছ ফল সহ নষ্ট করে ফেলে কৃষক দেখে তাকে বলে তুমি এরোকম করেছো কেনো তাতে ছেলেটি উত্তর দিল যেটুকু নষ্ট হয়েছে তার দাম হিসেবে ৫০০ টাকা দিলাম। কিন্তু কৃষকের মনে যে ব্যাথা পেয়েছে তাকি ছেলেটি ভালো করে দিতে পারবে। কৃষকের কষ্ট হয়েছে তার যত্নে করা টমেটোর গাছ গুলো নষ্ট করে ফেললো। তিনি কৃষকদেরকে বলেন শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ফসল কি ভাবে চাষাবাদ করবেন তা উপজেলা থেকে বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জেনে নিয়ে চাষ করবেন।
অনুষ্ঠানে শেষ দিকে প্রতম পুরস্কার বিতরণ করা হয় প্রধান অতিথি শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসানকে,গোসাইরহাট উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ কল্যান কুমারকে,গোসাইরহাট উপজেলার আওয়মীলীগের সভাপতি মোঃ শাজাহান শিকদারকে,গোসাইরহাট উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ আবুল খায়েরকে,গোসাইরহাট উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান মোসাঃ নাজমা আক্তারকে।
Leave a Reply