লোকমান হোসেন পলা।
আমার সাথে উনার প্রথম পরিচয় ২০০১ তখন তিনি কসবা উপজেলা সমিতি ঢাকার আহবায়ক, জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বিশেষ কারনে কসবা উপজেলা সমিতির কার্যক্রম ১০ বছর বন্ধ ছিল, সেই সময় তিনি নেতৃত্ব দিয়ে সমিতির গতি ফিয়ে আনেন উনার সাথে ছিলেন এম এ কাউয়ূম, (মান্দার পুর)বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান (বুগির) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ থাকা কালিন আমার গ্রামে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন। সমিতির কাজে উনার কাছে প্রায়ই যেতাম । উনি খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন এবং অবসর সময়ে এবাদত বন্দেগিতে মসগুল থাকতেন।
বেতন উঠানোর সময় কলেজ থেকে রিক্সায় যেতেন সোনালী ব্যাংকে। লাইনে দাঁড়াতেন সাধারণ মানুষদের সাথে। বাসে চলাচল করতেন চুপচাপ সাধারণ পেসেঞ্জারদের সাথেই বসে থাকতেন। অহংকারবোধ স্পর্শও করতে পারে নি কোন দিন।
খুব আস্তে কথা বলতেন যে কারো সাথেই হউক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ অফিসে একদিন আমি যে কোন প্রেক্ষাপটে খুব কাছ থেকে দেখেছি, উনি চরম রাগান্বিত ছিলেন। কিন্তু এতটুকু জোরে কথা বলেন নি।সাদামনের মানুষ বলতে যা যা বুজায় তিনি সেই সবগুণের অধিকারি ছিলেন।এই বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা রইল। আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুক।
Leave a Reply