-স্বর্ণা রায়
জীবন নামের তরিটি ভেসে চলছিল বেশ ভালোই। চলছিল জীবন-সমুদ্রপানে! সেই চলার পথে সাথির অভাব ছিল কিনা জানিনা! রাতের তারা,মিষ্টি মধুর চাঁদের আলো,স্বাতী নক্ষত্রের চোখের জল,সুদূরের লুব্ধক,বসন্ত রাতে খোলা জানালার বাইরে আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘপুঞ্জ সাথি ছিল সবাই আমার।শুধু আমি নিজে,ওই সমগ্রের মাঝে নিজেকে মিলিয়েদিতে,মিশিয়ে ফেলতে পারতাম না।
এভাবেই হঠাৎ জীবন তরিটি ডুবে যেতে লাগল একসময়!চারিদিক থেকে কী এক আঁধার যেন আমার গিলে খাচ্ছিল রোজ।কেউ তার পাশে নেই, কেউ তার পাশে নেই চলতে চলতে জীবন তরিটিও বুঝতে পারল এই চলার পথে কেউ তার সাথী নয় তাকে একাই চলতে হবে, তাকে একাই চলতে হবে!
হঠাৎ এমনিই পথ হারানো ধূসর ধুলো উড়ার দিনে,জীবন তরিটির পাশে এসে দাঁড়াল এক অচেনা অজানা পথ দেখানো পথিক, সেই ডুবন্ত জীবন তরিটির পাশে এসে দাঁড়ালো সে।
ঝড়ের সাগরে পথ হারানো তরিটি নিজেও জানে না সেই পথিক তাকে কত টুকু পথ দেখাবে৷কিন্তু জীবনতরিটি আশায় আছে হয়তো কেউ আবার তাকে পথ দেখাবে, হয়তো আবার কেউ তাকে পথ দেখাবে…
Leave a Reply