শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ঐতিহ্যবাহী আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের ৮৬ তম ইছালে ছাওয়াব মাহফিল আজ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে কসবায় কৃষক সভা অনুষ্ঠিত রাজধানীতে ঐশী বাংলা জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন-২০২৫ সম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ভূইয়ার জানাযা ও দাফন সম্পন্ন কসবা ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নতুন ভর্তির মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আল্লামা মরহুম গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের

ঝরা বকুলের গন্ধ

সুতপা দত্ত দাশগুপ্ত

কলকাতা।।

“এতো নয় যে প্রেমিকের ঠোঁটে শুধু
চুম্বন নিশানা রেখে যায়
অবনত মন কতো স্মৃতি বকুলের গন্ধে
মজে থাকে … ভরে থাকে
আমার চোখে মেঘ পাহাড়ের অনন্ত অভিসার….
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির গল্পে কতোটা ভিজতে পারে প্রজাপতি রোদ্দুর ?”

খুব অদ্ভুত অদ্ভুত জায়গায় কিছু কিছু ভালোবাসা লুকোনো থাকে । পুরোনো শিশিবোতল নাড়াচাড়া করতে করতে দেখি মশলার একটা বাহারি ডিবেতে লম্বা লম্বা পরিষ্কার দারচিনি ক’পিস । ইস এক ঝলকে আন্দামান, দারুচিনির দ্বীপ …নীল সমুদ্দুর ,ঝকঝকে নীল আকাশ, রোদেলা বাতাস আর ফেনার মুকুট মাথায় পরে জলকন্যেরা সব ভেসে উঠলো চোখের পাতায় … এমন সব পুজো আচ্চার বিরতি পর্বে কার্তিকের আকাশটা থ ই থ ই রোদ্দুরে ভেসে যায় । গাছেরা প্রস্তুত হতে থাকে পাতা ঝরাবে বলে । হালকা একটা শীত শীত হাওয়া মনকেমনের গন্ধ বয়ে আনে … সন্ধে নামতেই কেমন ঘরভুলোনো ছমছম ।কুয়াশা জড়িয়ে ধরে আলতো করে …হাওয়া বাতাসের হাত । কারো কারো ছাতের মাথায় চিলেকোঠার উপরে লম্বা আকশিতে লাগানো থাকে আকাশ প্রদীপ …বয়ে চলে রাত …. বাতাসে নামহারা অজানা গন্ধ , মাঝে মাঝে ছাতিম ফুলের গন্ধে নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসে …..উঠোন জুড়ে চাঁদের আলোর ঢল নামে …ঝরা বকুলের গন্ধ মিশে থাকে আলোর উঠোনে … সারা বাড়ি মেখে থাকে পুজোর আদর ,গুড়ের পাক, নারকোল কোরা জুঁই ফুল ধবধবে … আতপ চাল ভিজোনো র গন্ধ, খ ই উখড়া, তিল …নাড়ু মোয়া মাখামাখি গন্ধে গন্ধে ….দশমীর শেষদিন থেকেই শুরু বিজয়া করা …কাদের বাড়ি নাড়ুটায় পাক একদম ঠিকঠাক, কোন কাকিরা ক্ষীরের নাড়ু বানিয়েছে ….মা বানাতো ঘুগনি , পদ্মকাটা নিমকি, আর পাতলা পাতলা সাদা ধপধপে ক্ষীরের সন্দেশ ….কাগজের মতো সাদা ,আর ছাঁচেও ফেলা হতো কয়েকটা …শির দেওয়া ফুলের ছাঁচ আর আমার পছন্দ ছিল শাঁখের ছাঁচ টা । পাক ঠিক হলে হাতের চাপে গোল করে করে ছাঁচে ফেলো আর টুক করে চারপাশটা চামচে দিয়ে তুলে সন্দেশটা তুলে ফেলো ….. এছাড়া লবঙ্গ লতিকা আর বম্বে থেকে বেড়িয়ে এসে মাইশোর পাক …বেসনের পাকে তৈরি মিঠাই …
সারা বাড়ি মেতে থাকতো কারিপাতা ঘি ফোড়ন দেওয়া মুলো দেওয়া মটরের ডালের গন্ধে গন্ধে …. কখনো রাঁধুনি ফোড়ন দেওয়া পাতলা মুসুর ডাল …. তোমার এমন মনে পড়ে ? ঋতুর বদল ? জুঁই ফুল মালা থেকে আস্তে আস্তে খোঁপায় পরিয়ে দেওয়া সাদা সিজন ফ্লাওয়ারের লম্বা মালার দোল ….
আসলে একসাথে হাঁটার তো কোন শেষ হয়না …. আমার হাতে হাত রেখে আলতো জড়িয়ে নাও … আমাদের সাথে হাঁটতে থাকে না ফুরোনো ইচ্ছে গুলো …ফাগুনদিনের বৃষ্টি অথবা ঝরা বকুলের গন্ধ …..

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD