নিডস নিউজ ডেক্সঃ
রাজধানীর দক্ষিণখান, উত্তরখান, উত্তরাপূর্ব, উত্তরাপশ্চিম, তুরাগ, বিমানবন্দর ও খিলক্ষেত থানার পুরো এলাকা এবং ভাটারা থানার সামান্য অংশ নিয়ে ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসন। এই আসনের ২১৫ টি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭৭৩ জন।
সরকারি দল আওয়ামী লীগ থেকে এখানে প্রায় ১২ বছর এমপি ছিলেন সদ্যপ্রয়াত সাহারা খাতুন। তার মৃত্যুর পর বেশ কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে তৎপর হয়েছেন।
দীর্ঘ এক যুগ পর আসনটিতে স্থানীয়দের থেকে নমিনেশন নিতে এবার একাট্টা সবাই। এ নিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডে বার্তা দিচ্ছেন। তারা বলছেন, স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই এমপি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
স্থানীয় জনগণের দাবি ঢাকা ১৮ আসনের ত্যাগী ও জনবান্ধব নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের পরীক্ষীত সৈনিক। এদের মধ্য থেকে তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন যাচাই করে ঢাকা- ১৮ আসনের দায়িত্ব দিলে জনগন উপকৃত হবে। উল্লেখিত নেতৃবৃন্দ গণমানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং আওয়ামী লীগের দুর্দিনে লড়াই সংগ্রামে বিভিন্ন আন্দোলনে স্ব-শরীরে মাঠে থেকে নেতা কর্মীদের সুসংগঠিত করে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দাবী সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। এবারের উপ-নির্বাচনে সর্বাধিক আলোচনায় আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের পরিচিত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল হোসেন । ইতি পূর্বেও তিনি স্থানীয়দের মতামতে সবার থেকে এগিয়ে আছেন। তিনি দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তার বড় ভাই দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়নের রুপকার মুক্তিযুদ্ধকালীন গ্রæপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. মোজাম্মেল হক পর্যায়ক্রমে ২৭ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন।
দলীয় হাইকমান্ড সূত্রও জানায়, ঢাকা শহরে নতুন করে কোন অপরিচিত ব্যক্তিকে নমিনেশন দিয়ে রিস্ক নিতে চায় না দল। কারণ হিসেবে জানা গেছে, সামনের জাতীয় নির্বাচন ও বিরোধী দলকে মাথায় রেখে এমন চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ।
নিজের মনোনয়নের ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, আমি গত নির্বাচনেই দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী ছিলাম, দল আমাকে দেয়নি, এতে আমার দুঃখ নেই। এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই সিদ্ধান্ত নিবেন, সেটা আমি এবারও মেনে নিবো।
ঢাকা ১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কে হচ্ছেন- এ নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। এক ডজনের বেশি ব্যক্তি মাঠে নামছেন নির্বাচন করার জন্য। সবাই বলছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললে নির্বাচন করবেন, তিনি না বললে করবেন না।
নির্বাচনী আলোচনা ঘিরে চলছে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কর্মীদের প্রচারণা। ফেসবুকে, চা দোকানে, রাস্তার পয়েন্টে, আলাদা সিন্ডিকেট হচ্ছে প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের।
ঢাকা ১৮ আসনের মাঠের রাজনীতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল হোসেন এগিয়ে রয়েছেন। দক্ষিণখান, উওরখান, উওরাপূর্ব, উওরাপশ্চিম, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, তুরাগ ও ভাটারাসহ ঢাকা ১৮ আসনের প্রতিটি এলাকায় তার কর্মী-সমর্থকও বেশ সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি।
২৭ বছর দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১০ সালে ভাইয়ের মৃত্যুর পর বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দক্ষিণখান এলাকায় স্কুল-কলেজসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন তিনি। বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিদ্বতার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল কে উৎসাহ জোগাচ্ছে তাঁর সমর্থক নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী জানায়, এ আসনে বরাবরই বহিরাগত নেতারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হচ্ছেন। এবার দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে একজন স্থানীয় প্রার্থী দেওয়ার অনুরোধ জানানো হবে। স্থানীয় কোনো নেতা সংসদ সদস্য হলে এলাকার সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এ আসনের এলাকাগুলোর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং উত্তরার মতো গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা যেমন রয়েছে তেমনি উত্তরখান, দক্ষিণখান, ডুমনি, হরিরামপুরের মতো পিছিয়ে থাকা এলাকাও আছে। ফলে উন্নয়নের সমন্বয়ের স্বার্থে আসনটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আসন্ন ঢাকা-১৮ আসন জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্য দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উল্লেখ্য যে, আমাদের পরিবারের বিগত ৫০ বছরের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সু-ফলের অংশ হচ্ছে, অত্র অঞ্চলে প্রত্যেক টি পরিবারে আমাদের নিজেস্ব লোকবল রয়েছে। যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহা হইলে ঢাকা-১৮ আসনটি আপনাকে ফুলের তোরার মত উপহার দিতে পারব বলে আমি আশা করি।
Leave a Reply