প্রদীপ গুপ্ত
কলকাতা
সামনে ব্যান্ডপার্টি
পেছনে তাসা
মাঝখানে ভাঙ খাওয়া বিপ্লবীদের সাথে
মুখে কেরোসিন নিয়ে
হাতের মশালে ফুঃ ছুঁড়ে দিয়ে
আমিও অনেক আগুন ছুড়েছি আকাশে
এখন বুঝি বিপ্লবের তাতে কিছু যায় আসে নি।
ওদিকে লেনিনকে লেলিন বলা হনু
আর ডায়লেক্টিকাল মেটেরিয়ালিজম আওড়ানো পন্ডিত
দেওয়ালে দেওয়ালে বিপ্লব ছড়িয়েছে।
সর্বশক্তিমান মারকন্ড মুনি
গাল ভরা দাড়ি আর গোঁফের ফাঁকে
হেসে গেছেন দেওয়ালে হেলান দিয়ে।
আর মনে মনে মুন্ডুপাত করে গেছেন সমানে।
আর তার দাঁড়ির নীচে হাত ছুড়ে স্লোগান তুলেছি সমানে
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
এখন বুঝি বিপ্লবের তাতে কিছু যায় আসে নি।
পাড়ার চোলাই বিশ্বনাথ একদিন টাল হয়ে
রাস্তায় শুয়ে চিৎকার করে বলছিলো —
–” শরীরের থেকে লিভার বড় হলে
মানুষ হয় আগুন নয়তো কবর খোঁজে। ”
কে যে কখন দার্শনিক হয়ে যাবে
সেটা পরম বিপ্লবীও জানে না।
তাহলেও এটা ঠিক,
টিকটিকির ধর্ম হলো ওৎ পেতে বসে থাকা।
কে যেন সেই মাকড়সার শিকার ধরার কাহিনী বলেছিলেন,
একবার, নয় দুবার নইলে তিনবারের বার —
পেটের আগুন থেকে জ্বালানো মশাল কিন্তু হার মানে না।
আর তখনই বিপ্লব দীর্ঘজীবী হয়।
শীতল ছায়া থেকে গনগনে রাস্তায় নামলে
দেখা যাবে সেই একগাল দাড়ি নিয়ে
সর্বশক্তিমান মারকন্ড মুনি এখনও দেওয়ালে
হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
Leave a Reply