নাফিসা খান
ভারত
অভুক্তের অলঙ্কারে মনুষ্যত্ব সুপ্ত তটিনী ,
গতিহীন,অনাহারী অনূদ্ভবের, বর্তিকায়
মেলায় রন্ধনের উপকরণ।
ধর্মের বসন্তোৎসবে মেতেছে
অধর্মের আমির।
“বাবু ক্ষিদে পেয়েছে ,ধর্ম নয় ,
ভাত দে,ভেদাভেদে ভেঙ্গেছে
মোর ভাতের থালা,অনাহারে
দিনকাটে ,অর্ধেকবেলা”।
বাবু চলে আপন খেয়ালে
তাচ্ছিল্যের তরে ,গাড়ির কাঁচটি তুলে,
ভগবানের চরণে।
বেঁচে থাকে ওরা,বেঁচে আছে ওরা,
উচ্ছিষ্টের উপহারে,টিকে থাকার তাড়নায়।
‘Survival of the fittest’ইংরাজি
এই প্রবাদটি বড়ো নাটকীয়!
প্রতিদিন অনাহারী আত্মঘাতী,
অথচ,তোমার ধর্ম গড়েছে অধিবাস
আড়ম্বরে,অট্টালিকার ওপারে,
বিবেকহীনতার আতিশয্যে,
মন্দির,মসজিদ,গির্জাতে।
কেন খুঁজেফেরো ধর্ম অধর্মের সংবিধানে?
রূপান্তরের ভাগফল,ধর্ম থেকে রাজনীতির ইতিহাস।
ধর্ম রাজনীতি নিদারুণ কেমিস্ট্রি,
শুধু অমিল পুষেছি অন্তরিন্দ্রিয়ে ,দুরারোগ্যে!
পরস্পরের রচিত সমাধিতে খোঁজো যারে,
হাসিছেন তিনি নিভৃত গগনে।
লুন্ঠিত লুটেরার হাতে মানবতা,
বিদ্বেষের বিষে মেশে দুধের পিয়ালা!
তোমার শিশু গুরুরূপে আচারে যারে,
ভূমিষ্ঠ মহিষাসুর তার অন্তরে!
বিদ্যালয়ের দিয়া নেভে তেলের অভাবে,
নৃত্যশালায় রশনাই ,
আধারে ঘুম ভাঙ্গে জ্যোস্নার ঠিকানায়!
আগামীর ইতিহাসে যায় না ব্যতিরেকে,
মনুষ্যত্বের প্রাণসংহারের নির্মম এ কাহিনী।
Leave a Reply