শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী

পরিণীতা

নিলুফা জামান

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ক্যান্সার ইউনিটে এক মাস যাবত ভর্তি আছেন আমার মা। আমার কাছের আত্মীয় কেউ ঢাকায় থাকে না। আমি প্রতিদিন ইউনির্ভাসিটি শেষ করে সন্ধ্যায় মার কাছে চলে আসি ডাক্তার রাউন্ডে আসার আগে। ডাক্তারের সাথে কথা বলে ৮টার সময় চলে আসি। মায়ের দেখাশোনা করার জন্য একজন আয়া ফুলটাইমের রাখা হয়েছে। আমি সিদ্দিক বাজার একটা রুম ভাড়া নিয়ে থাকি। হলগুলোতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব বেশি বলে হলে থাকলে রাজনীতির বাহিরে থাকা প্রায় অসম্ভব তাই ভাইয়ার ইচ্ছে না যে আমি হলে থাকি। ইউনির্ভাসিটির ক্লাস, লাইব্রেরি-ওয়ার্ক, টিএসসিতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে হাসপাতালে চলে আসা আমার গত এক মাসের রুটিন হয়ে গিয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় মাকে দেখতে এসে দেখি মায়ের পাশের বেডের রুগি চেঞ্জ হয়ে ১৫/১৬ বছরের একজন রুগি এসেছেন, আজই ভর্তি হয়েছেন। মায়ের পাশে বসতেই মা আফশোস করে বললেন আহা বাছা,এত অল্প বয়সেই মরণব্যাধি বাসা বেঁধেছে ওর রক্তে। ওর নাম পরিণীতা। আমি আড়চোখে তাকালাম পরিণীতার করুণ মুখের দিকে। তাকাতেই মনটা সীমাহীন বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে গেলো। ফুট ফুটে একটি মেয়ে সুন্দর সিগ্ধ যখন জীবন ফাগুনের রঙ্গে রাঙাবে তখনই চৈতালি পাতার মত ঝরে যাচ্ছে। পাশেই এক ভদ্রলোক বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। মা বললেন মেয়েটার বাবা। পরিণীতা গায়ে চাদর ডাকা দিয়ে চোখের উপর হাত চাপা দিয়ে শুয়ে আছে। ওয়ার্ড বয় রাতের খাবার দিয়ে গেলো আমি মাকে খাওয়াতে ব্যাস্ত হলাম।পাশের বেডে ভদ্রলোকও মেয়েকে খাওয়াতে চাইছেন কিন্তু পরিণীতা চোখ থেকে হাত সারালো না। পরে খেয়ে নিবে বললো। মা আয়ার কাছে খেতে চান না একটু খেয়েই ফেলে দেন । তাই আমি বসে থেকেই খাইয়ে রেখে বের হয়ে এলাম। ভদ্র লোককে দেখলাম তখনো বসে আছে। ফিরতে ফিরতে পরিণীতার কথা বার বার মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে ও যেন আমারই কেউ, কত কাল ধরে চিনি ।
আজ আমার কোন ক্লাস নাই। বেলা ১২ টার মধ্যেই হাসপাতালে চলে এলাম। মা আজ গোসল করেছে ভিজা চুলে মাকে শিশিরে ভেজা ঘাসের মত দারুণ সুন্দর লাগছে। বালিশে হেলান দিয়ে বসে আছেন আজ একদম সুস্থ লাগছে। আমাকে দেখে অবাক হয়ে জানতে চাইলেন এত তাড়াতাড়ি আজ! সব খবর ভাল তো? বললাম, ক্লাস নাই তাই চলে এলাম, কিন্তু আসলে পরিণীতাকে খুব মনে পারছিলো তাই চলে আসা। পাশের বেডটা খালি দেখে মনে মনে ভাবলাম ওরা কি চলে গিয়েছে? মা বললেন, না — রাতে শরীরটা বেশ খারাপ হয়ে পরেছিলো তাই সকাল কিছু টেস্ট করতে নিয়ে গিয়েছে। স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে ওদের ফেরার অপেক্ষায় বেডের পাশের টুলটাতে বসে মায়ের হাতটা ধরে কতটা সময় বসে ছিলাম জানিনা, পরিনীতার ফিরে আসায় চমকে উঠলাম। দুর্বল পায়ে বাবাকে ভর করে এগিয়ে আসছে। ওকে শুয়ে দিয়ে একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে দিয়ে ভদ্রলোক বাহিরে এসে দাঁড়ালেন। আমিও তার পাশে এসে দাড়ালাম, ছালাম দিয়ে জানালাম আমি ‘রনো’। পাশের বেডের রুগি আমার মা। আজ আপনার রুগী কেমন আছেন? ভদ্রলোক দীর্ঘশ্বাস ফেলে জানালেন ভাল নেই রাতে শরীর অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। আমার এক মাত্র মেয়ে, দুইমাস আগে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার বিভিন্ন টেস্ট দেন। রিপোর্টে জানতে পারি ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরেছে। আমার মেয়েটা ক্লাস টেনে পরছে। সময় খুব কম। বলে ভদ্রলোক রুমালে চোখ মুছলেন। জানতে চাইলাম আপনারা কোথা থেকে এসেছেন? উত্তরে বললেন টাংগাইল থেকে। শহরেই উনার বাড়ি। ব্যাবসা করেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েটাই ছোট। ছেলেটা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে। চট্টগ্রাম থাকে। ঈশ্বর কী কঠিন পরীক্ষায় ফেললো আমাকে। মেয়েটাও লেখাপড়ায় খুব ভাল। ভেবেছিলাম ওকে ডাক্তারি পড়াবো কিন্তু কি হয়ে গেলো। তোমার বাড়ি কোথায় বাবা? বললাম গাজীপুর জেলার পোড়াবাড়ী গ্রামে। বাবা নাই দুই ভাই আর মা এই আমাদের সংসার। ভাইয়া গ্রামের সরকারি স্কুলের অংকের শিক্ষক। আমি পরিসংখ্যানে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ভাইয়াকে বিয়ে করাবে মেয়ে দেখতে শুরু করেছেন মাত্রই এমন সময় মায়ের ক্যান্সার ধরা পরলো। তাও ১বৎসর। গত এক মাস হয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। জানিনা কী হবে। উনি আমার কাঁধে হাত রাখলেন কিন্ত কোন শান্তনার বাণী শোনালেন না। আস্তে আস্তে সামনে এগিয়ে গেলেন।
পরের দিন অন্যদিনের চেয়ে তাড়াতাড়িই চলে এলাম। মায়ের বেডের কাছে এসে দাঁড়ালাম। মা ঘুমাচ্ছে। মুখটা শুকিয়ে গেছে। কী মলিন লাগছে মুখটা।শুধু বাড়ী ফিরে যেতে চান। আড়চোখে পাশের বেডে দিকে তাকালাম পরিণীতা বালিশে হেলান দিয়ে বসে আছে ওর ক্লান্ত চোখ দুটো আমায় দেখছে চোখাচোখি হতেই আমি হাসি হাসি মুখ করে বললাম আমি ‘রনো’। আজ শরীর কেমন আছে? ও এক টুকরো ক্লান্ত হাসি ফিরিয়ে দিয়ে বললো ‘ভাল’। আর কথা এগুলো না। বাহিরে এসে দাঁড়ালাম দেখি পরিণীতার বাবা আসছে কিছু খাবারের প্যাকেট হাতে। চোখাচেখি হতে ছালাম জানাই। ডাক্তার রাউন্ডে এলে মায়ের পাশে যেয়ে দাঁড়াই। মায়ের শারীরিক খোজ খবর নেই। অবস্থা খারাপের দিকেই।মা আরও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। মায়ের হাত টা ধরে বসে থাকি। পাশের বেডে পরিনীতার বাবা মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলছে, মারে সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি ভাল হয়ে যাবে। কয়দিন পরই আমরা টাংগাইল ফিরে যাবো। ওর ঠোঁটের কোণে শুকনো হাসিটুকু তখনো লেগে আছে। আমি মনে মনে উচ্চারণ করলাম, পরিনীতা কোথাও যেতে দেবোনা তোমাকে… কেন তুমি চলে যেতে চাচ্ছো?এ পৃথিবীর কত কিছু তোমার দেখার বাকি আছে সে সব তুমি দেখবে না?

আজ মায়ের শরীরটা ভাল না। কিছুই খেতে পারছেন না। বড় ভাই এসেছে। ব্যাস্ত ছিলাম দুপুর পর্যন্ত। কিছু টেস্টের রিপোর্ট আনতে যেতে হয়েছিলো। ভাইয়া ছিলো মায়ের কাছে। দুপুরের খাবার খেয়ে ফিরেছি যাতে আমি মায়ের কাছে থাকতে পারি ভাইয়া এসে খেয়ে যাবে। মা ঘুমাচ্ছে। ভাইয়া কে বললাম, আপনি খেয়ে আসেন। টুলটাতে বসে মায়ের হাতটা ধরে বসলাম। এই হাতের স্পর্শ কেন আমার থেকে কেড়ে নিচ্ছে আল্লাহ। বাবাকে তো সেই কবেই হারিয়েছি মা ই তো আমাদের সব। সেই মাকেও নিয়ে যাচ্ছ কেন আল্লাহ্। পরিনীতার দিকে তাকাই সেই একই স্টাইলে চোখের উপর হাত চাপা দিয়ে শুয়ে আছে ঘুমে না জেগে বোঝা যাচ্ছে না। মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছি- আমার ৬০ বছরের মা দুঃখ-কষ্ঠ ঘাত-প্রতিঘাতের লড়াকু যোদ্ধা। এই বয়সে এসে মরণ ব্যাধির সাথে যুদ্ধ করে চলছেন। আর ঐ যে চোখে হাত চাপা দিয়ে শুয়ে আছে সে তো সবে ভোরের শিশির। রোদের উত্তাপ এখনো স্পর্শ করেনি তাকে। এখনো তার জীবনের শিউলী সুবাস ছড়ায়নি। তবে কি এত তাড়াতাড়ি ঝরে যাবে? তুমি সুস্থ হয়ে উঠো পরিণীতা।আমি তোমাকে আমার গ্রামে নিয়ে যাবো। মুক্ত বাতাসে তুমি বুক ভরে নিশ্বাস নিবে। তোমার জীবন রঙে রঙিন প্রাণচঞ্চলতায় হবে মুখরিত।
আমি তোমাকে নিয়ে জোছনা রাতে গ্রামের নির্জন পথে ধরে হেঁটে যাবো। দু’ধারে আমন ধানের ছোঁপ,জমির বুকচিরে এঁকেবেকে চলে যাওয়া কাচামাটির পথ জোছনা ঝলমলে আলোতে সে পথকে মনে হবে ধবধবে সাদা। পথের উত্তর দিকে হেলে পড়া চাঁদ ধান গাছের উপর অকৃত্রিম জোছনার আলো বিছিয়েছে সতেজ হাওয়া দু’পাশের ধানগাছের মাথা ছুঁয়ে ছুঁয়ে এসে আমাদের গায়ে জড়িয়ে থাকবে। জোছনায় ভেসে যাবে চরাচর। ঝিঁ ঝিঁ পোকার বিরতিহীন ডাক আর রাতের অপার নিস্তব্ধতা বুঝিয়ে দেবে আমরা দুজনার কত কাছে চলে এসেছি… হাঁটছি তুমি আমি হাত ধরে পাশাপাশি…
কতটা সময় এমন ভাবছিলাম জানিনা গ্লাসের শব্দ ভাবনার ছন্দপতন হলো। পাশে বেডে দেখ পরিনীতার রুগ্ন হাতে গ্লাসটা নিতে গিয়ে জগের সাথ লেগে গিয়ে শব্দ হয়েছে। ওর জন্য রাখা আয়াটা এসময় আশে পাশে দেখলাম না তাই আমি পানি ভরে গ্লাসটা ওর হাতে তুলে দিতেই অবাক চোখে ও আমার দিকে তাকায়। ক্লান্ত চোখ দুটি আমার মুখে কি যেন খুঁজছে। না বলা কোন কথায় ঠোঁট দুটি কাঁপছে। আমি দ্বিধা ছেড়ে পরম মমতায় ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেই। যেন এই মুহূর্তে এটাই আমার করা উচিত। অবাক চোখ দুটি শুধু আমার দিকে চেয়ে রইলো। আবেগে আপ্লুত ওর চোখে শ্রাবণের বৃষ্টি এলো। আমাকেও নিঃশব্দে কাঁদালো।
আমি চুপি চুপি বলি, তোমাকে কোথাও যেতে দেবোনা পরিণীতা, কোথাও না।
সেদিনের পর থেকে ও যেন আমার আসার অপেক্ষায় থাকতো, আমাকে দেখলেই ওর ক্লান্ত রুগ্ন চোখ দুটি উজ্জ্বল হয়ে উঠতো। মুখে প্রশান্তির ছায়া খেলতো। এরই মাঝে মায়ের শারিরীক অবস্থা অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।পরিণীতার সাথে আমার দেখা হওয়াটাও কমে গেলো। তবুও বাসায় ফেরার আগে ওর ওখানে যাই একটু সময় ওর পাশে দাঁড়াই কিছু একটা ছল করে ওর হাতটা ছুয়ে দেই আজ কেমন আছো বলি। ওর সেই একই উত্তর ভাল।
পরিণীতার শরীর দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। বাবার চোখে মুখে ভয় কখন যেন কি হয়ে যায় সব সময় অতঙ্কে থাকে।
বর্ষণ মুখর একদিন সে সময়টা চলেই এলো, তাই সেদিন আকাশটা অঝরে কেঁদেছিলো। বাবা মেয়ের হাত ধরে কেঁদেই যাচ্ছে।এত অল্প বয়সে তুই আমাকে ছেড়ে একা একা কোথায় যাচ্ছিস রে মা। তোকে নিয়ে আমার স্বপ্নগুলো তো কিছুই পূর্ণ হলো না। কত আশা ছিলো তোকে ডাক্তার বানাবো, অনেক ধুমধাম করে বিয়ে দেবো কোন কিছুই তো হলোনা-রে। আমাকে রেখে কেন চলে গেলি মা। আমি প্রায় বলেই ফেলেছিলাম, আঙ্কেল এখনি আমাদের বিয়ে দিন। বলা হলোনা, পরিনীতার সময় শেষ নতুন বাঁধনে আর নাই বা জড়ালো। আমি বিরবির করে বলি পরিনীতা একা এসেছিলে একাই চলে যাও। হাসপাতালের ফমালিটি শেষ করতে আমি ওর বাবার সাথে সাথেই রইলাম। একা—তার উপর মেয়ের শোকে ভেঙ্গে পড়ছে বারবার। আমি পাথরের মত তার পাশে দাঁড়াই। এ্যাবুলেন্সে পরিণীতাকে তুলে দিতে যেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম। আজ আর সেই ঠোঁটের কোনে হাসি নেই। সে চোখে কোন উজ্জ্বলতা নেই। চোখের উপর হাত চাপা দেওয়া নেই। পরিণীতা আজ গভীর ঘুমে শরীরের সব যন্ত্রণা মিটিয়ে শান্তিতে ঘুমাচ্ছ। এ্যাম্বুলেন্স এগিয়ে যাচ্ছে আমি মনে মনে বলি, কোজাগরী শব্দের অভিধানিক অর্থ আমি জানিনা, শুধু জানি আশ্বিণ মাসের পূর্ণিমারাতের চাঁদকে কোজাগরী পূর্ণিমাচাঁদ বলে, সে চাঁদের আলো জোছনাকে আরও মোহনিয় আরও উজ্জল করে তোলে।

পরিণীতা এমনি কোন এক কোজাগরী পূর্নিমার রাতে তুমি ফিরে এসো, সে রাতের মোহনীয় জোছনায় তুমি আমি হেঁটে যাবো। খৈ-ফোটা জোছনায় ক্ষেতের আলপথ ধরে অনন্তের পথে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD