শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০১:০৬ অপরাহ্ন

পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হলো ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’

পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হলো ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’

প্রতীকী ছবি
নিউজ ডেস্কঃ
ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত তথাকথিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত। লাহোরের হাইকোর্ট সোমবার বিতর্কিত এই টেস্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দেন। খবর ডন ও ডয়েচে ভেলের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(ডব্লিউএইচও) মতে, ধর্ষণ প্রমাণে শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতির কোনো বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি নেই এবং এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। পৃথিবীর অনেক দেশে আগে এই টেস্টের প্রচলন থাকলেও বর্তমানে এটি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মীরা এ পদ্ধতি বন্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলার শুনানি শেষে সোমবার লাহোরের হাইকোর্ট এ রায় দেন। পাঞ্জাবপ্রদেশে এটি কার্যকর হবে। তবে পাকিস্তানে এ পদ্ধতি নিষিদ্ধের রায় এটিই প্রথম। মানবাধিকারকর্মীদের আশা খুব দ্রুতই এ রায় সারাদেশে কার্যকর হবে।

বস্তুত টু ফিঙ্গার টেস্ট এক বহু পুরনো প্রচলিত পরীক্ষা। যেখানে মেডিকেল অফিসার ধর্ষণের পর নারীর বিশেষ অঙ্গে দুটি আঙুল ঢুকিয়ে কুমারিত্ব পরীক্ষা করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বহুদিন আগেই জানিয়েছে, এ পরীক্ষার কোনো অর্থ নেই। এ পরীক্ষা থেকে রেপ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানাও যায় না। বরং এই টেস্টের মাধ্যমে নারীকে অপমানই করা হয়।

৩০ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি আয়েশা এ মালিক বলেন, ‘কুমারিত্ব পরীক্ষার এই চর্চা ভুক্তভোগী নারীর আত্মমর্যাদায় আঘাত হানে।’

ডিসেম্বরে ধর্ষণবিরোধী নতুন আইনের মাধ্যমেই আসলে এ পদ্ধতি নিষিদ্ধের উদ্যোগ নেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তবে ওই আইনে ধর্ষণের পর ক্ষত পরীক্ষায় ব্যবহারিক উপায় অবলম্বনের বৈধতা রাখা হয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD