লোকমান হোসেন পলা।।
এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার-২০২০ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর পুরস্কার পাচ্ছেন সাহিত্যে অবদানের জন্য প্রবীণ কথাশিল্পী হাসনাত আবদুল হাই এবং নবীন সাহিত্য শ্রেণিতে নাহিদা নাহিদ। তারা পুরস্কার হিসেবে পাবেন যথাক্রমে পাঁচ লাখ এবং এক লাখ টাকা। এছাড়া ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সার্টিফিকেট দেয়া হবে। ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হবে হাসনাত আবদুল হাই এবং নাহিদা নাহিদের হাতে। ছয় দশক ধরে হাসনাত আবদুল হাই লিখছেন। তার লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, বৈচিত্র্য। গতানুগতিকতা ও পৌনপুনিকতা পরিহার করে নতুনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তার গল্প উপন্যাসে মূর্ত হয়ে উঠে আর্থসামাজিক-রাজনীতি, মানুষের যাপিত জীবন, প্রেম ইত্যাদি। তিনি এ দেশের সাহিত্যে জীবনীভিত্তিক উপন্যাসের ধারার প্রচলন করেছেন। ভ্রমণ কাহিনীতে রেখেছেন নিজস্বতার ছাপ। উন্নয়ন অর্থনীতি এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট, নন্দনতত্ত্ব এবং রাজনীতি নিয়েও তিনি লিখেছেন সমান উদ্দীপনায়। প্রতিশ্রুতিশীল এক গল্পকার নাহিদা নাহিদ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। তার লেখালেখির সূচনা দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত ‘নারকেল পাতার চশমা’ শিরোনামের ছোটগল্প দিয়ে। প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘অলকার ফুল’। এরপর প্রকাশিত হয়েছে আরও দুটি গল্পগ্রন্থ- ‘যূথচারী আঁধারের গল্প’ এবং ‘পুরুষপাঠ’।
নাহিদা নাহিদ এর আগে পেয়েছেন ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’। এবার ‘পুরুষপাঠ’ গল্পগ্রন্থের জন্য নবীন সাহিত্য শ্রেণিতে ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার-২০২০’ পাচ্ছেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল হাই (জন্ম: ১৯৩৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে জন্মত্রহণ করেন। একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কবি ও ঔপন্যাসিক। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।
কথাশিল্পী হাসনাত আবদুল হাই
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৭)
অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৩)
জগদীশ চন্দ্র বসু পুরস্কার (১৯৯৫)
শের-ই-বাংলা পুরস্কার (১৯৯৫)
এস.এম. সুলতান পুরস্কার (১৯৯৫)
শিল্পাচার্য জয়নুল পুরস্কার (১৯৯৬)
Leave a Reply