বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা
বনানী কবরস্থানে মা ও বোনের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ক্যাপ্টেন নওশাদ

বনানী কবরস্থানে মা ও বোনের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ক্যাপ্টেন নওশাদ

ডেস্ক রিপোর্ট।।
ছবিঃ সংগৃহীত
রাজধানীর বলাকায় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মা ও বোনের কবরের পাশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় তার মরদেহ সমাহিত করা হয়। দাফন শেষে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এর আগে দুপুর ২টায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদরদপ্তরের বলাকা মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা কাইয়ুমের ইমামতিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এছাড়া বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ তার নিকটাত্মীয় ও বন্ধুরা জানাজায় অংশ নেন।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, এক বছর বয়সে ১৯৮০ সালে মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদের বোন রাবেয়া। ওই বোনের কবরে ২০১২ সালে তার মাকেও সমাহিত করা হয়। আর আজ তাদের কবরে নওশাদকে সমাহিত করা হলো।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের নিথর মরদেহ দেশের মাটিতে পৌঁছায়। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেনের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে।

উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। যাত্রীদের নিরাপদে রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশেী এই পাইলট।

জানা যায়, পাঁচ বছর আগে এভাবেই আরও ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রুর জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। পরে ২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD