বিশেষ ডেক্র: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন অাজ দুপুরে বাদী হয়ে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা সহ ২৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে বসুরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বড়রামপুর এলাকার বাসিন্দা জসীম উদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ২৮ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার বরাত দিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও রাতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশ অভিযানে নামে। রাতের ওই অভিযানে ২৭ জনকে আটক করা হয়। বুধবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে সেলিম নামে আরেক যুবককে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে সংঘর্ষের কাজে ব্যবহৃত ককটেল, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরইমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ওই মামলায়। এছাড়া মামলার বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, বসুরহাট বাজারে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় সংঘর্ষকারীরা পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। একই সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তিনিসহ (ওসি) বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেল উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং এর জেরে গভীর রাতে পৌরভবনে সশস্ত্র হামলায় উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নামের এক অটো সিএনজিচালক নিহত হয়েছেন। এতে পৌরভবনে কয়েকশ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। পরক্ষনে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অানেক। তবে তাৎক্ষনিক কোন হামলা কারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ৯ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বসুরহাটে। পৌরসভা এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারার কারণে বাজারে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম। এছাড়া বসুরহাট বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাটই বন্ধ।
Leave a Reply