নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
সূর্য সেদিন বঙ্গজাতির জাগালো ঘুম অনেক আগেই,
বসন্তের আভাষ দিতে পলাশ, শিমূল জাগলো যেই।।
বাতাস যখন গর্জে ওঠে, “মাতৃভাষার খোলরে শিকল”,
কেমন করে বুকের আগুন লুকিয়ে রাখি, হারায় তো “বোল”!
ফেব্রুয়ারির একুশ সেদিন, জাগরণের বার্তা দিয়ে ভাঙলো তালা –
শিক্ষালয়ের দামাল তরুন পড়লো গলায়, “মরণ মালা” ।।
মেঘনা, পদ্মা, ধলেশ্বরী,কর্ণফুলী, ধানসিঁড়িটির বুকে
রক্তদানে ফেব্রুয়ারির সেই একুশে , বাংলা ভাষা জাগে।।
মায়ের ভাষা বলতে গেলে, করবে আঘাত, পড়বে লাগাম!
এমন হুকুম মানেনি মন, বাহান্নোর একুশে লড়াই হলো মরণপণ।।
বাক ফুটেছে যে ভাষাতে, সে ভাষাতেই স্বপ্ন দেখা,
বাংলা বর্ণমালার সোনালি খামেই, আমরণ কবিতা লেখা।।
ফাগুন যখন ঝরাপাতায় তুলির টানে, সবুজ আনে,
সাগর মুখে গঙ্গা,পদ্মা, যায় যে খুশির অভিযানে –
তখন ছাত্রদলের রণ হুঙ্কার স্বাধীনতার বীজ বপণে,
বাংলা ভাষার শিকল খুলে,
একুশেতে মায়ের মুক্তি, আনতে জানে।।
কলকাতা, ভারত।।
Leave a Reply