বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

বাঞ্ছারামপুর চাঞ্চল্যকর ভাই-বোন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ থাপ্পড়ের শোধ তুলতেই হত্যা

বাঞ্ছারামপুর চাঞ্চল্যকর ভাই-বোন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ থাপ্পড়ের শোধ তুলতেই হত্যা

নিডস নিউজ ডেক্সঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর ভাই-বোন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিজ ভগ্নিপতির দেয়া থাপ্পড়ের শোধ তুলতে কামরুল হাসান ও তার বোন শিফা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে আপন মামা বাদল মিয়া (৩০)। দুই ভাগ্নে-ভাগ্নিকে খুনের দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বাদল মিয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাদল মিয়া কুমিল্লার হোমনা উপজেলার খোদে-দাউদপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার সবুজবাগ থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বাহরাইন প্রবাসি বাদল মিয়া গত মার্চ মাসে দেশে ফিরে আসেন। গ্রামে গোষ্ঠীগত দাঙ্গার একটি মামলায় আসামি হওয়ার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে তার বোন হাসিনা আক্তারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। প্রবাসে থাকাকালে ব্যবসা করার জন্য ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেন বাদল মিয়া। এর মধ্যে তিন লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ১০ লাখ টাকার জন্য ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মন-মালিন্য চলছিল তার। এর জেরে সপ্তাহখানেক আগে বাদল মিয়াকে থাপ্পড় মারেন কামাল উদ্দিন। এই ঘটনায় প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করেন বাদল মিয়া।

পুলিশ আরও জানায়, গত ২৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে কামাল উদ্দিনের ছেলে কামরুল হাসান তার মামা বাদল মিয়া কক্ষে যায়। বাদল মিয়া তখন রুমে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে কামরুল হাসান এর হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে মামা বাদল মিয়া। পরে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। ভাগ্নি শিফা রুম ঝাড়ু দিতে গিয়ে দেখে ফেললে তাকেও মারার জন্য ধস্তাধস্তি করে বাদল মিয়া। একপর্যায়ে শিফাকে ধাক্কা মেরে বাথরুমে নিয়ে তাকেও গলা কেটে হত্যা করে লাশ অন্য একটি রুমের খাটের নিচে রেখে দেয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মাগরিবের আজান হওয়ার পরও কামরুলকে না পেয়ে সবাই খোঁজাখুঁজি করার জন্য বাইরে বের হয়। কিছুক্ষণ পর শিফাকেও দেখতে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরই মধ্যে বাদলকে সঙ্গে নিয়ে বাঞ্ছারামপুর ফেরিঘাট এলাকায় কামরুল ও শিফাকে খুঁজতে যান কামাল উদ্দিন। কিন্তু কামালকে না বলেই বাদল সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতদের বাবা কামাল বাদী হয়ে বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, এই মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। একমাত্র আসামী বাদল মিয়া আজ যে কোন সময়ে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD